বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে ইউরোপের আরও একটি দেশ
সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন—তাঁর দেশে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা ৯ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশটির প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা অ্যান্ডারসন এ ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে মহামারি-সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার কিংবা হ্রাস করা ইউরোপীয় দেশের তালিকায় নাম লেখাচ্ছে সুইডেন। খবর ভয়েস অব আমেরিকার।
স্টকহোমে এক সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্ডারসন বলেছেন, ‘এ রোগটির বিষয়ে (কোভিড-১৯) ভালোভাবে বোঝা যাচ্ছে।’ সেইসঙ্গে কোভিড-সংক্রমণের হারের তুলনায় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার ওপর চাপ কমেছে এবং দ্রুত টিকা দেওয়ার হার বেড়েছে বলেও তিনি জানান।
সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুইডেন গণপরিবহণে মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা, পানশালা ও রেস্তোঁরায় গ্রাহকের সংখ্যা নির্দিষ্টকরণ, এবং টিকা নেওয়ার প্রমাণ দেখানোর বাধ্যবাধকতা তুলে নেবে। অ্যান্ডারসন আরও বলেন, যেসব নিয়োগকর্তার কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করছেন, তাঁদের ‘কর্মক্ষেত্রে ধাপে ধাপে কর্মী ফিরিয়ে আনার জন্য’ পরিকল্পনা করা উচিত।
এ সময় অ্যান্ডারসন বলেন, তিনি মহামারি শেষ হওয়ার ঘোষণা দিচ্ছেন না; তবে, সুইডেন একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে।
একই দিনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপীয় আঞ্চলিক কার্যালয়ের বক্তব্যও অ্যান্ডারসনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
ইউরোপে ডব্লিউএইচওর আঞ্চলিক পরিচালক হান্স ক্লুগ ডেনমার্কের কোপেনহেগেনে তাঁর কার্যালয় থেকে এক ভার্চুয়াল নিউজ ব্রিফিংয়ে বলেন, তিনি ইউরোপে কোভিড মহামারির ‘সম্ভাব্য সমাপ্তি’ দেখতে পাচ্ছেন।
হান্স ক্লুগ বলেন, ইউরোপে গত সপ্তাহে রেকর্ড মাত্রায় নতুন সংক্রমণ অব্যাহত থাকলেও, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া একই গতিতে বাড়েনি এবং মৃত্যু সামান্য বেড়েছে।
ক্লুজ আরও বলেন, ইউরোপে এখন প্রথম বারের মতো করোনাভাইরাস মহামারির সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন,কোভিড-১৯-এর টিকার কারণে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। এবং ওমিক্রন ভ্যারিয়্যান্টে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার মাত্রাও কম। এসব কারণে জনসংখ্যার একটি অংশে প্রতিরক্ষার স্তর তৈরি হয়েছে।
এ ছাড়া হান্স ক্লুগ বলেন, উচ্চ সুরক্ষার এ সময়টিকে ‘যুদ্ধবিরতি’ হিসেবে দেখা উচিত, যা টিকা ও বুস্টার ডোজ প্রয়োগ বজায় রাখলে পরবর্তী সময়ে স্থায়ী শান্তি বয়ে আনতে সক্ষম।