বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে শিশুদের করোনার টিকা দিল কিউবা
বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে শিশুদেরও করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া শুরু করেছে কিউবা। দুই বছর বা তার ঊর্ধ্বে সব শিশুকে টিকার আওতায় আনা হচ্ছে।
ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, কিউবা তাদের জনগণকে নিজেদের তৈরি টিকাই দিচ্ছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিইএইচও) কিউবার তৈরি টিকাকে এখনও স্বীকৃতি দেয়নি।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৯০ শতাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এরই মধ্যে দেশটির প্রায় অর্ধেক মানুষ টিকার একটি ডোজ গ্রহণ করেছে। এ ছাড়া এক তৃতীয়াংশ মানুষ দুটি ডোজই গ্রহণ করেছে।
জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে কিউবায় প্রতিদিনই প্রায় সাত হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছে। বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হারে এক কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার দেশটি শীর্ষ অবস্থানে থাকা দেশগুলোর তালিকায় রয়েছে।
শিশুদের ক্লাসরুমে ফেরানোর জন্য অধীর হয়ে উঠেছে কিউবা। দেশটির বেশিরভাগ বাড়িতেই ইন্টারনেট সংযোগ নেই। গত বছরের মার্চ থেকেই দেশটির সব স্কুল বন্ধ রয়েছে। তবে বেশিরভাগ শিশুই টেলিভিশনে প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয় শিখছে। পর্যটনখাতও আগের মতো চালু করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে এই দ্বীপ রাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা এপির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে পর্যটনখাত থেকে চার দশমিক এক বিলিয়ন ডলার আয় করেছে কিউবা।
নিজেদের ব্যবহারের জন্য দুটি টিকা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে কিউবা। দুই থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুদের জন্য সোবেরানা-২ টিকা দেওয়া হচ্ছে। অপরদিকে প্রাপ্তবয়স্কদের দেওয়া হচ্ছে আবদালা নামের অপর একটি টিকা। দুটি টিকাই স্থানীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলো অনুমোদন দিয়েছে।