ভারতের উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি, ২০০ সড়কে যান চলাচল বন্ধ
ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের বেশ কিছু অংশে ফের ভারি বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। একনাগাড়ে বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় ব্যাপকভাবে পানি জমে গিয়েছে। ফলে অনেক জায়গায় বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিপুল বৃষ্টিতে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক-৭-এর একটি অংশসহ প্রায় ২০০ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তীর্থযাত্রীরা মহাসড়কের দুই পাশে আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকার স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রবল বৃষ্টির পর রাস্তায় বের হওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। আজ শনিবারও এ বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে।
বৃষ্টির ফলে উত্তরাখণ্ড রাজ্যের রাজধানী দেরাদুনের কিছু অংশে শুক্রবার ব্যাপক যানজট হয়। ব্যাপকভাবে রাস্তায় পানি দাঁড়িয়ে যাওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
উত্তরকাশী জেলায় অবিরাম বর্ষণ স্বাভাবিক জীবনকে স্তব্ধ করে দিয়েছে, ১৪টি গ্রামীণ রাস্তা ছাড়াও গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ করে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। পাহাড় থেকে মাঝে মাঝে পাথর গড়িয়ে পড়ার কারণে গঙ্গোত্রী জাতীয় সড়কটি বান্দরকোটের কাছে অবরুদ্ধ হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা আধিকারিক দেবেন্দ্র পাটওয়াল।
উত্তরাখণ্ডের হিমালয় মন্দিরের দিকে যাওয়ার জাতীয় সড়ক ছাড়াও, ১৪টি গ্রামীণ রাস্তা ও রাস্তার উপর চলে আসা ধ্বংসাবশেষের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গিয়েছে। মেঘ ভাঙা বৃষ্টি সম্প্রতি মেঘ ভাঙা বৃষ্টি ভাসিয়ে নিয়ে যায় অমরনাথ মন্দিরের সামনে থেকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় প্রায় ১৬ জন পুন্যার্থীকে।
কিছুদিন আগেই মণিপুরে বিপুল বৃষ্টির জেরে ভূমিধস নামে এবং এর জেরে বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেনা ছাউনির কাছে ভূমিধস হয়। ২০১৩ সালের ১৩ থেকে ১৭ জুন উত্তরাখণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হয়। সেই স্মৃতি এখনও তাড়া করে বেড়ায় সেখানকার মানুষকে। সেখানকার চোরাবাড়ি হিমবাহ গলে যায় এবং মন্দাকিনী নদীতে পানিস্ফীতি ঘটে। যার জেরে হঠাৎ বন্যা ও ভূমিধসের কারণে প্রায় পাঁচ হাজার সাধারণ মানুষ এবং পর্যটকের মৃত্যু হয়।
২০২১ সালে নন্দাদেবী হিমবাহের একটি অংশ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা চামেলি বিপর্যয় নামেও পরিচিত।