ভারতে খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিং গ্রেপ্তার
ভারতে পলাতক খালিস্তানপন্থী নেতা অমৃতপাল সিংকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ১৮ মার্চ থেকে পলাতক ছিলেন তিনি। আজ রোববার (২৩ এপ্রিল) পাঞ্জাবের মোগায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এরপর তাকে গ্রেপ্তার দেখায় পুলিশ। খবর এনডিটিভির।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাঞ্জাব পুলিশ মানুষকে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং ভুয়া খবর না ছড়াতে অনুরোধ করেছে। এক টুইট বার্তায় পুলিশ জানায়, ‘পাঞ্জাবের মোগায় অমৃতপাল সিং গ্রেপ্তার হয়েছে। (পরে) আরও বিস্তারিত তথ্য জানাবে পাঞ্জাব পুলিশ। নাগরিকদের প্রতি অনুরোধ, শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখবেন এবং কোনো ভুয়া খবর শেয়ার করবেন না। সব সময় (তথ্য) যাচাই করুন এবং শেয়ার করুন।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ২৯ বছর বয়সী অমৃতপাল মোগা জেলার রোদে গ্রামে একটি গুরুদুয়ারায় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। কট্টরপন্থী এই শিখ নেতাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তাকে ঐতিহ্যবাহী সাদা পোশাকে দেখা যায়।
অমৃতপাল সিংকে আসামের দিব্রুগড়ে স্থানান্তর করা হচ্ছে, যেখানে তার আট সহযোগীকে ইতোমধ্যেই জাতীয় নিরাপত্তা আইনের আওতায় আটক রাখা হয়েছে।
অমৃতপাল সিংকে সরকার খালিস্তানি ও পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে দাবি করে। গত কয়েক বছর ধরে তিনি পাঞ্জাবে সক্রিয় এবং প্রায়শই তাকে সশস্ত্র সমর্থকদের সঙ্গে দেখা যায়। তিনি নিজেকে খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং সন্ত্রাসবাদী জার্নাইল সিং ভিন্দ্রানওয়ালের অনুসারী বলে দাবি করেন। সমর্থকদের মাঝে তিনি ‘ভিন্দ্রানওয়ালে ২.০’ নামে পরিচিত।
আজনালায় একটি থানায় হামলা চালানোর এক মাস পর গত ১৮ মার্চ অমৃতপাল সিং এবং তার দল ‘ওয়ারিস পাঞ্জাব দে’-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পাঞ্জাব পুলিশ।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, পাঞ্জাবের আম আদমি পার্টির সরকার, কেন্দ্রীয় সরকার এবং আসামের বিজেপি সরকারের সমন্বয়ে অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অমৃতপাল এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে শ্রেণিবিদ্বেষ ছড়ানো, খুনের চেষ্টা, পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা এবং সরকারি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে বাধা সৃষ্টি করাসহ একাধিক অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, অমৃতপাল সিং এবং তার সহযোগীরা পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার-সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) মাধ্যমে অস্ত্র সংগ্রহ করছে এবং পাঞ্জাবকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছে। অমৃতপাল সিং তরুণদের বন্দুক সহিংসতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।