‘রাশিয়ার নিরাপত্তা উপেক্ষিত’, তবু আলোচনা চালিয়ে যেতে চান পুতিন
সম্ভাব্য ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপের মধ্যেই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ‘রাশিয়ার মূল নিরাপত্তা বিষয়ক উদ্বেগের জায়গাগুলো উপেক্ষা করছে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রশক্তি ন্যাটো।’ এর পরেও তিনি পশ্চিমা শক্তির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন। যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ’র সঙ্গে এক ঘণ্টার বেশি সময় ফোনে কথা বলেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। ক্রেমলিনের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পুতিন বলেছেন, ‘রাশিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটোর সেনা মোতায়েনে রাশিয়ার নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগের বিষয়টি ধর্তব্যই হচ্ছে না।’
পুতিনের উদ্দেশে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, ‘রাশিয়ার উচিত অপর রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া।’
এদিকে, পূর্ব ইউরোপে ন্যাটোর শক্তি বাড়াতে খুব শিগগিরই সেখানে মার্কিন সেনা মোতায়েন করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবার পেনসিলভানিয়া থেকে ওয়াশিংটনে ফিরে বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘পূর্ব ইউরোপ ও ন্যাটোর দেশগুলোতে স্বল্পসংখ্যক সেনা পাঠাচ্ছি।’
যুক্তরাষ্ট্র মূলত পশ্চিম ইউরোপে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করে রেখেছে। এখন উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব ইউরোপে সেনা পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা দপ্তর পেন্টাগন। পেন্টাগনের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘ন্যাটোকে সহায়তা করতে সম্ভাব্য মোতায়েনের জন্যে সাড়ে আট হাজার সৈন্যকে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থায় রাখা হয়েছে।’
এ ছাড়া রাশিয়ার কাছে তার সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাখ্যা চাইতে আগামী সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ সভা আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে পেন্টাগন বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়া কোনো ধরনের সামরিক আগ্রাসন চালালে তা ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনবে।
ইউক্রেন সীমান্তবর্তী অঞ্চলে রাশিয়া লাখখানেক সেনা মোতায়েন করেছে এবং যুদ্ধকালীন বিভিন্ন সরঞ্জাম পাঠিয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধের পর ওই অঞ্চলে এত সেনা মোতায়েন করা হয়নি কখনোই।
তবে, রাশিয়া এখনও যুদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করছে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন সামরিক বাহিনীর জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ জেনারেল মার্ক মিল্লি বলেছেন, ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে বলে মনে হয় না আমাদের।’