হিন্ডেনবার্গের থাবায় আরেক ধনকুবের, একদিনেই হারালেন ৫২ কোটি ডলার
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনের পরের ধকল এখনও কাটাতে পারেননি এক সময়ের বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী গৌতম আদানি। এবার নিউইয়র্কভিত্তিক শর্ট সেলার সংস্থার থাবায় ব্লক ইনকরপোরেশনের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও ধনকুবের জ্যাক ডরসি। প্রতিবেদনে সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, পেমেন্ট কোম্পানিটি জালিয়াতি করে ব্লকের ব্যবহারকারী বাড়িয়েছে।
এদিকে, হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের পর একদিনেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবারেই (২৩ মার্চ) জ্যাক ডরসি হারিয়েছেন ৫২ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গ ইনডেক্সের তথ্যানুযায়ী, এই মার্কিন ধনকুবেরের সম্পদের পরিমাণ ১১ শতাংশ কমে ৪৪০ কোটি ডলারে গিয়ে ঠেকেছে। খবর এনডিটিভির।
গতকাল বৃহস্পতিবার জ্যাক ডরসির ব্লক ইনকরপোরেশন নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে হিন্ডেনবার্গ। তাদের দাবি, ব্লক ইনকরপোরেশন পুঁজিবাজারে তাদের শেয়ারের দাম নির্ধারণে কারসাজি করেছে। এ ছাড়া এই প্রতিষ্ঠান অনেক প্রতারণার ঘটনাও উপেক্ষা করে গেছে। নিজেদের ‘মেট্রিক’ (বাণিজ্যের পরিমাণ বা লেনদেন ও ব্যবহারকারীর সংখ্যা) জালিয়াতি করে ফুলে ফেঁপে উঠেছিল ব্লক। তবে, এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে ব্লক। তারা নিউইয়র্ক ভিত্তিক শর্ট সেলার প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া কথা জানিয়েছে তারা।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনের পরই বৃহস্পতিবার ব্লকের শেয়ারের দাম ২২ শতাংশ পর্যন্ত কমে দিন শেষে দাঁড়ায় ১৫ শতাংশে।
টুইটারেরও সহ প্রতিষ্ঠাতা ডরসি ব্লকের সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ব্লুমবার্গের তথ্য মতে, ব্লকে ডরসির শেয়ার রয়েছে ৩০০ কোটি ডলারের। আর টুইটারে তাঁর শেয়ার রয়েছে ৩৮ কোটি ৮০ লাখ ডলারের।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ও ভারতীয় ধনকুবের গৌতম আদানির বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগ এনেছিল প্রতিষ্ঠানটি। হিনডেনবার্গ রিসার্চের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের পরে গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম এক হাজার কোটি ডলার কমে যায়। এর ফলে, ব্লুমবার্গের বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকার ২১তম অবস্থানে নেমে যান আদানি।
আর ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিকোলা করপোরেশনের বিরুদ্ধে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল হিন্ডেনবার্গ। এরপরেই নিকোলার শেয়ারে ব্যাপক দরপতন হয়। পরে নিকোলার প্রতিষ্ঠাতা ট্রেভর মিল্টনের বিরুদ্ধে তদন্ত হয় ও জালিয়াতির অভিযোগে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন।