‘নেতাজির প্রদীপ বিচ্ছুরিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে’
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু যে সংগ্রামের প্রদীপ জ্বেলে গিয়েছিলেন, সেই প্রদীপের আলো বিচ্ছুরিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে।’ তিনি বলেন, ‘নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু যদি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সংগ্রামের মূর্তমান প্রতীক হয়ে না দাঁড়াতেন, তাহলে হয়তো এই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা এত সহজে অর্জন হতো কিনা সেই বিষয়ে সংশয় থেকেই যায়।’
আজ শনিবার ভারতের কলকাতায় নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু জাদুঘর পরিদর্শনে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের দেশপ্রেমিক নেতা সুভাষ চন্দ্র বসুর পৈত্রিক নিবাসের নেতাজি ভবনেই এই জাদুঘরটি অবস্থিত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভারত স্বাধীনতা পেলেও বাংলাদেশকে নতুন করে একবার স্বাধীনতা অর্জনের জন্য লড়াই করতে হয়েছে। বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে আত্মত্যাগ করতে হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি কলকাতায় এসে সুযোগ পেয়েই নেতাজির স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়িতে চলে এসেছি। আসলে আমার বোন শেখ রেহানা অনেকদিন থেকেই আমাকে বলছিল, আমরা দুই বোন একসঙ্গে কলকাতায় যাব। শুক্রবার কলকাতায় এসে আমরা জোড়াসাঁকোতে গিয়েছি। আজ এলাম নেতাজির বাড়িতে। সব সময়ই সংগ্রামী নেতাদের অবদান দেখলে নিজের দেশকে ভালোবাসা যায়, দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার অনুপ্রেরণা পাওয়া যায়।’
নেতাজি রিসার্চ ব্যুরোর চেয়ারম্যান ও লোকসভার সাবেক সদস্য অধ্যাপক কৃষ্ণ বসু প্রধানমন্ত্রীকে ওই জাদুঘরের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুই দিনের সরকারি সফরে গতকাল শুক্রবার সকালে কলকাতায় পৌঁছেন।