চিকিৎসার জন্য বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন হরিয়ানায়
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অনুপ্রবেশের দায়ে আটকের প্রায় এক বছর পর আদালতের অনুমতি নিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য হরিয়ানার একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ।
আজ শুক্রবার দুপুরের দিকে হরিয়ানার গুরগাঁওয়ের মেদান্তা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ। এর আগে দিল্লির উদ্দেশে গতকাল বৃহস্পতিবার মেঘালয় ছাড়েন বিএনপি নেতা।
বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
শায়রুল কবীর খান বলেন, ‘বাংলাদেশ সময় আজ বেলা ১১টার দিকে আমার সঙ্গে সালাহউদ্দিন সাহেবের কথা হয়েছে। তিনি তখন হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিলেন। গতকাল তিনি মেঘালয় থেকে দিল্লি রওনা হন।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেই এনটিভির অনলাইনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, সালাহউদ্দিন আহমেদ উন্নত চিকিৎসার জন্য দিন তিনেক আগে শিলং আদালতের অনুমতি পেয়েছেন। আদালত তাঁকে চিকিৎসার স্থান ও এ সংশ্লিষ্ট বিস্তারিত তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গত বছরের ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং শহরের গলফ লিংক এলাকা থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করা হয় সালাহউদ্দিন আহমেদকে। তার আগে গত বছরের ১০ মার্চ বাংলাদেশের ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির এই নেতা। যদিও পরিবারের দাবি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তাঁকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।
শিলংয়ে আটক হওয়ার পর সালাহউদ্দিন আহমেদ দাবি করেন, ‘আমাকে চোখ বন্ধ করে কে বা কারা ফেলে দিয়ে গেছে।’
পরে শিলং পুলিশ অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে মামলা করে। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে জামিন চান সালাহউদ্দিন আহমেদ। বেশ কয়েক দফা শুনানি শেষে আদালত শর্তসাপেক্ষে তাঁকে জামিনে মুক্তি দেন।
আদালতের শর্ত অনুযায়ী, শিলং শহর ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না সালাহউদ্দিন আহমেদ। এ কারণে চিকিৎসার জন্য সালাহউদ্দিনের পরিবার তাঁকে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যেতে চাইলেও অনুমতি মেলেনি। ভারতীয় বিদেশি নাগরিক আইনে তাঁর বিরুদ্ধে শিলং আদালতে মামলা চলছে।
শিলং শহরে দীর্ঘদিন ধরে জামিনে মুক্তি পেয়ে অবস্থান করছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ। ভারতে আটকের পরের দিন থেকেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি। কিডনির জটিলতা, হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত তিনি।