ব্যক্তিগত ই-মেইলের জন্য হিলারির বিরুদ্ধে অভিযোগ নয় : এফবিআই
মার্কিন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআই জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের জন্য হিলারি ক্লিনটনের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ করা হবে না। চলতি বছর অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের এই মনোনয়নপ্রত্যাশী এর মাধ্যমে এক অর্থে ই-মেইল কেলেঙ্কারি থেকে মুক্তি পেলেন।
এফবিআইর পরিচালক জেমস কমে বলেন, হিলারি ক্লিনটন তাঁর ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারের একশর বেশি ই-মেইলে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। এ জন্য হিলারিকে ‘চরম অসাবধান’ বললেও কোনো অভিযোগ করা হবে না বলে জানান জেমস কমে।
যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ইনডিপেনডেন্ট জানায়, হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভারে থাকা ৩০ হাজার ই-মেইল পরীক্ষা করেছে এফবিআই। দীর্ঘ চার বছর এসব ই-মেইল ওই সার্ভারে জমা হয়েছে। এসব ই-মেইলের অন্তত ১১০টিতে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ছিল।
হিলারির ব্যক্তিগত ই-মেইল সার্ভার বিষয়ে এফবিআইর বিশ্লেষণ হলো, এই ই-মেইল অ্যাকাউন্টে অন্য কারো ঢোকা সম্ভব ছিল। পাঠানো বা গ্রহণ করা ১০০টির বেশি ই-মেইলে গোপন বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ছিল। তবে সজ্ঞানে গোপন তথ্য অন্যকে জানিয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ হিলারির বিরুদ্ধে নেই। আর গোপন করার জন্য কোনো ই-মেইল মুছে ফেলেননি হিলারি।
এফবিআই কোনো অভিযোগ না করার সিদ্ধান্তের খবরের পরও বিষয়টি হিলারি সম্পর্কে বিতর্কের রসদ জোগাবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এফবিআইর ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা পরই যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণার মঞ্চে ওঠেন হিলারি ক্লিনটন। এটিই হিলারির কোনো প্রচারণায় ওবামার প্রথম সরাসরি অংশগ্রহণ। নর্থ ক্যারোলিনার প্রচারণায় ওবামা বা হিলারি কেউই ই-মেইল কেলেঙ্কারি এবং এ বিষয়ে এফবিআইর সিদ্ধান্তের বিষয়ে কোনো কথা বলেন।
নর্থ ক্যারোলিনার প্রচারণায় ওবামা ঘোষণা করেন, এবারের মার্কিন প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য হিলারির চেয়ে যোগ্য কোনো প্রার্থী নেই।