আমাকে আক্রমণ, ভারতীয় মুসলমানদের ওপর আক্রমণ
‘আমার বিরুদ্ধে কোনো আক্রমণ কিংবা বিদ্বেষমূলক প্রচার চালানোর অর্থ হলো ভারতীয় মুসলমানদের ওপর আক্রমণ। এই ধরনের কার্যকলাপ গণতন্ত্র হত্যার শামিল।‘ সম্প্রতি এক খোলা চিঠিতে এ কথা বলেছেন ভারতের বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা জাকির নায়েক।
দি ইকোনমিক টাইমস, ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসসহ ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে গতকাল শনিবার জাকির নায়েকের দুই হাজার শব্দের খোলা চিঠি প্রকাশিত হয়েছে।
খোলা চিঠিতে জাকির নায়েক বলেন, ‘আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি এজন্য যেকোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে রাজি আছি। কিন্ত সেক্ষেত্রে প্রকৃত তথ্য প্রমাণ প্রয়োজন। কোনো উড়ো খবরের ভিত্তিতে অহেতুক আমাকে যেন হেনস্থা করা না হয়। ভারত সরকারের কাছে আবেদন তারা যেন স্বচ্ছ তদন্ত করে।’
জাকির নায়েক আরো বলেন, ‘সারা বিশ্বের প্রায় ১৫০টি দেশ আমাকে শ্রদ্ধা করে। আমার বক্তব্যকে তারা স্বাগত জানায়। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে ভারত আমার বিরুদ্ধে জঙ্গিদের উদ্বুদ্ধ করার অভিযোগ তুলেছে। অথচ আমি ২৫ বছর ধরে ধর্ম প্রচার করে আসছি। এত দিন আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ ওঠেনি। এখন কেন এই ধরনের অভিযোগ উঠল? ’
খোলা চিঠিতে জাকির নায়েক বলেন, ‘আজ গণতন্ত্র এবং মানুষের মৌলিক অধিকারকে যেভাবে গলা টিপে হত্যা করা হচ্ছে তা দেখে আমি যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে বিভিন্ন পদ্ধতিতে এবং গনমাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করে যেভাবে পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে প্রচরণা চলছে তা দেখে আমি সত্যিই উদ্বিগ্ন।’
জাকির নায়েক বলেন, সংবিধানই তাঁকে মুক্ত কণ্ঠে ধর্মের অনুশীলন ও প্রচার চালানোর স্বাধীনতা দিয়েছে। এই ধরনের অসৎ প্রচারণার পেছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলেও অভিযোগ তাঁর।
জাকির নায়েকের দাবি, তাঁর ওপর কোনো আক্রমণ মানেই তা ভারতীয় মুসলমানদের ওপর যেমন আক্রমণের শামিল তেমনি এই ধরনের আক্রমণ শান্তি, গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচারের ওপরেও আক্রমণ বলে মনে করেন তিনি।
চলতি বছরের গত জুলাই মাসে ঢাকার গুলশানে জঙ্গি হামলার পরই জাকির নায়েকের দিকে অভিযোগের তীর ওঠে। জানা যায়, জাকির নায়েকের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয় ঢাকার দুই হামলাকারী। পরে জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্তে নামেন ভারতীয় গোয়েন্দারা। জাকির নায়েকের এনজিও ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন’কে নিষিদ্ধ করা নিয়ে আলোচনা চলছে।