জাকির নায়েকের ওয়েবসাইট বন্ধ, ফেসবুক-টুইটারও বন্ধের উদ্যোগ
ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থার (এনআইএ) অভিযোগ গঠনের পর দেশটির ইসলামবিষয়ক বক্তা জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থানে গিয়েছে সরকার। ভারতের সংবাদমাধ্যম জানায়, মুম্বাইয়ে তাঁর গবেষণা সংস্থা ‘ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের’ (আইআরএফ)ওয়েবসাইট বন্ধের পর পরই জাকির নায়েকের ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটও বন্ধ করে দেয় দেশটির সরকার।
এ ছাড়া ‘ধর্মীয় বৈরিতা’ ছড়ানোর দায়ে জাকির নায়েকের ব্যক্তিগত ফেসবুক-টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো বন্ধেরও উদ্যোগ নিয়েছে ভারত।
এর আগে ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে জাকির নায়েকের ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে এমন ১০টি স্থানে অভিযান চালায়। ওইসব প্রতিষ্ঠানে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ‘বৈরিতা’ ছড়ানোর অভিযোগ আনে দেশটির সরকার।
এ ছাড়া আজ সোমবার এনডিটিভি জানিয়ে বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থানরত এই ধর্মবিষয়ক বক্তাকে দেশে ফেরাতে উদ্যোগ নিচ্ছে এনআইএ। সেখান থেকে তাঁকে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলেরও সাহায্য নেওয়া হতে পারে।
এনআইএর এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে প্রথমে একটি জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে। তার পরই ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশের আবেদন করবে। আর তাহলে জাকির নায়েককে ভারতের হাতে তুলে দিতে বাধ্য হবে সৌদি সরকার।
এর আগে যুবকদের সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উৎসাহিত করার অভিযোগে ভারত পুলিশ জাকিরের বিরুদ্ধে মামলা করে।
সম্প্রতি আইআরএফকে পাঁচ বছরের জন্য ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়। পাশাপাশি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে আইআরএফের সব কার্যকলাপের ওপরে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি ছাড়া প্রতিষ্ঠানটি বিদেশি অনুদান আনতে পারবে না বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাকির নায়েককে ভারতের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য, কানাডা ও মালয়েশিয়ায়ও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
ইসলামবিষয়ক এই বক্তা বর্তমানে সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। আপাতত তিনি ভারতে যাচ্ছেন না বলে খবর পাওয়া গেছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ঢাকার গুলশানে অবস্থিত স্প্যানিশ রেস্তোরাঁ ‘হলি আর্টিজান বেকারি’তে সন্ত্রাসী হামলায় ২০ জন নিহত হয়। সে সময় বাংলাদেশ সরকার অভিযোগ করে, জাকির নায়েকের বিভিন্ন বক্তব্যে প্রভাবিত হয়েই সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালিয়েছিল। এর পর পরই ভারত সরকার জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে তদন্তের পদক্ষেপ নেয়।