নির্বাচনের ফল পাল্টানোর ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত ট্রাম্প
২০২০ সালের নির্বাচনে পরাজয়ের পর ফলাফল পাল্টে দেওয়ার ষড়যন্ত্রের জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার ষড়যন্ত্র, একজন সাক্ষীকে দিয়ে কারসাজি এবং নাগরিক অধিকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রসহ চারটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
ইতোমধ্যে ২০২৪ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন ৭৭ বয়সী ট্রাম্প। তিনি নিজের বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি মামলাটিকে ‘হাস্যকর’ বলে উল্লেখ করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইতোমধ্যে আরও দুটি মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো—গোপন নথির অপব্যবহার এবং মুখ বন্ধ রাখতে একজন পর্ন তারকাকে অর্থ প্রদানের তথ্য জাল করা।
আনুষ্ঠানিকভাবে আনা নতুন ওই অভিযোগের তদন্তকাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মার্কিন বিচার বিভাগ নিযুক্ত বিশেষ কাউন্সেল জ্যাক স্মিথ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের রাজধানীতে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি চালানো হামলা ছিল আমেরিকান গণতন্ত্রের আসনে একটি নজিরবিহীন আক্রমণ। (মামলার) অভিযোগ অনুযায়ী, এতে মিথ্যার মাধ্যমে ইন্ধন জোগানো হয়েছিল।’
স্মিথ ‘দ্রুত বিচারের’ প্রক্রিয়া শেষ করে আনার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেন, সাবেক প্রেসিডেন্টকে ‘অপরাধ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্দোষ বলে ধরে নিতে হবে’।
ট্রাম্পকে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।
৪৫ পৃষ্ঠার অভিযোগে ষড়যন্ত্রে সহযোগিতাকারী অজ্ঞাতনামা ছয়জনকে রাখা হয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন আইনজীবী, একজন বিচার বিভাগের কর্মকর্তা এবং একজন রাজনৈতিক পরামর্শদাতা।
আদালতের নথিতে ট্রাম্পকে ‘অসততা, জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ফেডারেল সরকারের কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রে’ অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০২০ সালে ট্রাম্পের ভোট জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়ে প্রসিকিউটররা বলেন, ‘এই দাবিগুলো মিথ্যা ছিল এবং আসামিও জানতেন, সেগুলো মিথ্যা।’
প্রসিকিউটররা আরও বলেন, ট্রাম্প ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে বাইডেনের সার্টিফিকেশন বন্ধ করতে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে বোঝাতে চেষ্টা করেছিলেন এবং ব্যর্থ হয়েছেন।
ট্রাম্প এখন তিনটি পৃথক মামলায় সামগ্রিকভাবে ৭৮টি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। বর্তমানে তিনি রিপাবলিকান দলের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বাছাইয়ের দৌড়ে রয়েছেন। ট্রাম্প ক্যাম্পেইনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, মঙ্গলবারের অভিযোগটি তার নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের শামিল।