ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে এক লাখ ৮৬ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী
ভালো ভবিষ্যতের আশায় প্রতিবছরই ইউরোপের দেশগুলোতে পাড়ি জমাচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। দিনকে দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলছে। আর ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশে ভূমধ্যসাগর রুটটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন তারা। চলতি বছরে এ পর্যন্ত এই রুটটি পাড়ি দিতে গিয়ে নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী। আর ইউরোপে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছেন অন্তত এক লাখ ৮৬ হাজার জন। জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এ তথ্য জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
ইউএনএইচসিআরের নিউইয়র্ক কার্যালয়ের পরিচালক রুভেন মেনিকডিওয়েলা বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, ‘ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশ করতে পেরেছেন মোট প্রচেষ্টাকারীর ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ইতালিতে ঢুকেছেন এক লাখ ৩০ হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী। তালিকায় এরপরেই রয়েছে গ্রিস, স্পেন, সাইপ্রাস ও মাল্টা।’
বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর রুটটি ব্যবহার করা অভিবাসনপ্রত্যাশীদের নিহত বা নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা আগের বছরের চেয়ে বেড়েছে বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে জানিয়েছেন মেনিকডিওয়েলা। তিনি বলেন, ‘২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে নিহত বা নিখোঁজ হয়েছেন, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এক হাজার ৬৮০ জন বেশি।’
কীভাবে সাব-সাহারান আফ্রিকান দেশগুলো থেকে অভিবাসনপ্রত্যাশীরা তিউনিসিয়া ও লিবিয়া উপকূল ব্যবহার করে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়, তা নিরাপত্তা কাউন্সিলকে জানিয়েছে ইউএনসিএইচআরের কর্মকর্তারা।
ইউরোপের দেশগুলোতে প্রবেশে বিপজ্জনক ভূমধ্যসাগর রুটটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে। এই রুটে হরহামেশাই নৌকাডুবির ঘটনা ঘটছে। এতে মারা যাচ্ছেন বহু অভিবাসনপ্রত্যাশী। নিহতদের মধ্য শিশুর সংখ্যাও কম নয়।
মেনিকডিওয়েলা বলেন, ‘শুধু সাগরে নয়, স্থলভাগেও প্রাণ হারাচ্ছেন অভিবাসনপ্রত্যাশীরা। প্রতিটি পর্যায়ে মৃত্যু ও চরম মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে রয়েছেন অভিবাসী ও উদ্বাস্তুরা।’
ইউএনসিএইচআরের এই পরিচালক বলেন, ‘চলতি বছরে এ পর্যন্ত শুধু তিউনিসিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন এক লাখ দুই হাজার অভিবাসনপ্রত্যাশী, যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ২৬০ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া লিবিয়া উপকূল থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছেন ৪৫ হাজারেরও বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী।’