যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলে যাচ্ছেন আগামীকাল বুধবার (১৮ অক্টোবর)। সফরকালে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এছাড়া আজ মঙ্গলবার ইসরায়েল পৌঁছাবেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস।

গত ৭ অক্টোবর সংঘাতের প্রথম দিন থেকেই ইসরায়েলের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসন। সংঘাত শুরু হওয়ার পর বুধবারই প্রথম ইসরায়েলের মাটিতে পা রাখবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে জো বাইডেনের আলোচনা হওয়ার কথা। তার মধ্যে অন্যতম গাজা উপত্যকায় বেসামরিক মানুষের জন্য সাহায্য পৌঁছে দেওয়া। এখনও পর্যন্ত গাজা অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলের জিম্মিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত গাজায় কিছুই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। হামাস অবশ্য ইতোমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় ওই ব্যক্তিদের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের হাতে আটক রয়েছেন ১৯৯ জন ইসরায়েলি।

ইসরায়েল পৌঁছানোর আগে মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) জর্ডনের রাজা ও ফিলিস্তিনি প্রশাসনের সঙ্গে দেখা করবেন বাইডেন। বুধবার তার ইসরায়েল পৌঁছানোর কথা। মিসরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের। বস্তুত, মিসরের সীমান্ত দিয়ে গাজায় সাহায্য পাঠানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে বাইডেনের সঙ্গে মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাতাহ আল-সিসির আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন অবশ্য ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কথা অনেকটা এগিয়ে ফেলেছেন। ইসরায়েল থেকে গত চারদিন তিনি জর্ডান, মিসর, আরব দেশগুলো এবং ফিলিস্তিনের প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সোমবার (১৬ অক্টোবর) তিনি আবার ইসরায়েলে ফিরেছেন। এদিন ইসরায়েলের মন্ত্রীদের সঙ্গে আবার বৈঠকে বসেন তিনি। বৈঠক চলাকালে পাঁচ মিনিট তাদেরকে বাংকারেও বসতে হয়েছে। কারণ, সাইরেন বেজে উঠেছিল।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ব্লিংকেন। পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘গাজায় সাহায্য পাঠাতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। তবে কেবল বেসামরিক মানুষের কাছেই ত্রাণ পাঠানো যাবে।’

অন্যদিকে নেতানিয়াহু বলেন, ‘এ লড়াই সম্মানের, এ লড়াই ইহুদিকে বাঁচিয়ে রাখার।’ দ্রুত এই সংঘাত থামবে না বলে সতর্ক করে দেন তিনি।

দেশের বিভিন্ন সীমান্তেই লড়াই চালাতে হচ্ছে ইসরায়েলকে। লেবানন সীমান্তে হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি স্থাপনায় মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে আঘাত হানা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর মুখপাত্র।

এদিকে সোমবার হামাস একটি ভিডিও প্রচার করেছে। সেখানে দেখা যায়, হামাসের হাতে বন্দি হয়েছেন ইসরায়েলের এক নারী। ক্যামেরার সামনে তিনি বলেন, তার হাত জখম হয়েছে। হামাস তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। দ্রুত ওখান থেকে তাকে উদ্ধারের আর্জি জানিয়েছেন ওই বন্দি। কোন পরিস্থিতিতে ক্যামেরার সামনে এই কথাগুলো তাকে বলতে হয়েছে, তা নিয়ে নানান প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।

আজ মঙ্গলবারই ইসরায়েল পৌঁছাবেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।