গাজার হাসপাতালে হামাস হামলা করেছে : জো বাইডেন
ইসরায়েল সফরে রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দখলদার দেশটিকে সমর্থন জানাতেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই সফর। ইতোমধ্যে গাজা উপত্যকায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ভয়াবহ এই বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এই হামলার জন্য ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে দায়ী করেছেন বাইডেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘হামাস শুধু কষ্ট বাড়াচ্ছে।’ খবর এএফপির।
তেল আবিবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন বলেন, ‘গাজার হাসপাতালে গতকালের হামলার জন্য আমি গভীরভাবে ব্যথিত ও ক্ষুব্ধ হয়েছিলাম। আমি যা দেখেছি তার উপর ভিত্তি করে মনে হচ্ছে, এটি অন্য দল করেছে, আপনি (নেতানিয়াহু) নন।’
বাইডেন বলেন, ‘সেখানে কত মানুষ রয়েছে সে সম্পর্কে আমরা নিশ্চিত নই। তবে, আমাদের অনেক বিষয় পেরিয়ে আসতে হবে।’
হামাসের নিয়ন্ত্রণাধীন গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে বিস্ফোরণে ২০০ থেকে ৩০০ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী এই হামলা চালিয়েছে বলে দাবি তাদের।
তবে, এই বিস্ফোরণের জন্য ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠনকে দায়ী করছে ইসরায়েলে সামরিক বাহিনী। তারা বলেছে, ইসলামিক জিহাদের রকেট অপ্রত্যাশিতভাবে সেখানে আঘাত হেনেছে। এর প্রমাণ তাদের কাছে আছে।
নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠকে বাইডেন বলেন, ‘আমাদের একটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে, হামাস সমস্ত ফিলিস্তিনি জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না। তারা শুধু ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য কষ্ট নিয়ে এসেছে।’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘নিরপরাধ ও সংঘাতের মাঝে আটকে পড়া ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করার জন্য আমি নেতানিয়াহুকে উৎসাহিত করেছি।’
বাইডেনের ইসরায়েলের সফরের ঘোষণা দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে একমত পোষণ করেছে। গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছাতে সাহায্য করবে তারা।
গত ৭ অক্টোবর আকস্মিকভাবে ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এর প্রতিক্রিয়ায় গাজা উপত্যকা ও পশ্চিম তীরে একের পর এক হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েলি বাহিনী। গোটা গাজাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে তারা। বর্তমানে গাজায় স্থল অভিযান চালানোর হুমকি দিচ্ছে ইসরায়েল।
সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘ইসরায়েলে সফরে এসে আমি গর্বিত। আমি ইসরায়েলের জনগণকে বলতে চাই- তাদের সাহসিকতা ও প্রতিশ্রুতি অত্যাশ্চর্য।’
ইসরায়েলে হামাসের হামলার জন্য অভ্যন্তরীণভাবে সমালোচনার মুখোমুখি হচ্ছেন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় এই হামলার পরেই বাইডেনকে সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান নেতানিয়াহু। সম্প্রতি ইসরায়েলের কট্টর ডানপন্থী সরকারের কিছু পদক্ষেপের প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছিলেন বাইডেন।