যুদ্ধবিরতির ‘খুব কাছাকাছি’ পৌঁছানোর কথা জানালেন হামাসনেতা
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়ে আসছিল বিশ্বনেতা থেকে শুরু করে জাতিসংঘ এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলো। তবে, যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে আসছিল ইসরায়েল। অবশেষে কাতারের মধ্যস্তায় দুপক্ষ যুদ্ধবিরতির খুবই কাছাকাছি রয়েছে বলে জানিয়েছেন হামাসনেতা ইসমাইল হানিয়া। খবর এএফপির।
আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে ইসমাইল হানিয়া লেখেন, ‘আমরা যুদ্ধবিরতির চুক্তির খুবই কাছাকছি রয়েছি।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, হামাসের হামলায় অন্তত এক হাজার ২০০ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন বেসামরিক নাগরিক। এ ছাড়া ২৪০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস।
প্রতিশোধ নিতে ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। সব বন্দিদের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত হামলা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে দেশটি। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনীর আকাশ, নৌ ও স্থলপথে চালানো হামলায় ফিলিস্তিনের ১৩ হাজার ২০০ জনের বেশি প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের মধ্যে পাঁচ হাজারের বেশিই শিশু।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, কাতারে হামাসের রাজনৈতিক কার্যালয়ে থাকেন ইসমাইল হানিয়া। যুদ্ধবিরতির জন্য মধ্যস্থতা করছে কাতার। গত রোববার (১৯ নভেম্বর) কাতারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়গুলো নির্ভর করে জিম্মিদের মুক্তির ওপর। আর গতকাল সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা জিম্মিদের মুক্তি চুক্তির খুবই কাছাকাছি রয়েছি।’
যুদ্ধবিরতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি সূত্রের বরাতে এএফপি জানায়, জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েল অন্তত পাঁচ দিনের অভিযান ও হামলা বন্ধ রাখবে। বিনিময়ে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ যথাক্রমে ৫০ ও ১০০ জিম্মিকে মুক্তি দেবে। তাদের মধ্যে ইসরায়েলসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক থাকলেও সামরিক বাহিনীর কোনো সদস্য থাকবে না।
অন্যদিকে সম্ভাব্য চুক্তি অনুযায়ী, ইসরায়েল নারী ও শিশুসহ ৩০০ ফিলিস্তিনিকে তাদের জেল থেকে মুক্তি দেবে।
যুদ্ধবিরতির বিষয়ে হোয়াইট হাউস বলছে, আলোচনা শেষ পর্যায়ে আছে। তবে, বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। কারণ হিসেবে তারা জানিয়েছে, বিষয়টি প্রকাশিত হলে এটি সফল হওয়া বিপন্ন হতে পারে।
অন্যদিকে গতকাল রেড ক্রস থেকে বলা হয়, সংস্থাটির প্রধান কাতারে গেছেন। তার উদ্দেশ্য হামাস নেতা হানিয়ার সঙ্গে দেখা করা।