যুদ্ধবিরতি আরও একদিন বাড়াল হামাস-ইসরায়েল
ষষ্ঠ দিনের যুদ্ধবিরতির সময়সীমা শেষ হওয়ার আগ মুহূর্তে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ও ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ আজ বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জানিয়েছে যে, দুপক্ষের মধ্যে চলতে থাকা যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে। তবে এই চুক্তির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিষ্কার কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। খবর এএফপির।
নতুন যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট সময়সীমার উল্লেখ না করে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে, ‘পণবন্দিদের মুক্তির প্রক্রিয়াকে বজায় রাখতে এবং আলোচনার কাঠামো অনুসারে মধ্যস্থতাকারীদের অব্যাহত তৎপরতার আলোকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকবে।’
এদিকে, কোনো বিস্তারিত বিবরণ না দিয়ে হামাস বলেছে, সপ্তম দিনের মতো যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে সংগঠনটি।
অন্যদিকে, মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি বাড়াতে সম্মত হয়েছে হামাস ও ইসরায়েল।
কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় এ পর্যন্ত ছয়টি দলে পণবন্দিদের মুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া চুক্তির বাইরে গতকাল বুধবার আরও চারজন থাই নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়। হামাস জানায়, এদের মধ্যে রাশিয়া ও ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক দুইজন নারীকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিশেষ উদ্যোগে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের সশস্ত্র যোদ্ধারা ইসরায়েলে প্রবেশ করে এক হাজার ২০০ লোককে হত্যা করে এবং সেখান থেকে আরও ২৪০ জনকে অপহরণ করে গাজায় নিয়ে আসে। এরপর থেকে গাজায় আকাশ ও স্থলপথে ইসরায়েলের বিরামহীন হামলায় ১৫ হাজারের কাছাকাছি ফিলিস্তিনি নিহত হয়। তাদের হামলায় গাজার উত্তরাঞ্চল ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে।
ওদিকে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেস গাজায় সত্যিকার মানবিক যুদ্ধবিরতির ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেছেন। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে গুতেরেস বলেন, গাজাবাসী চরম মানবিক দুর্বিপাকের মধ্যে রয়েছে। সাত সপ্তাহের ক্রমাগত বোমাবর্ষণে সেখানকার মানুষ এখন আশ্রয়হীন অবস্থায় খাদ্য ও পানীয়র চরম সঙ্কটের মুখোমুখি।