গাজায় যুদ্ধবিরতি বাড়াতে চায় হামাস, ‘নিরাপদ অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার ডাক যুক্তরাষ্ট্রের
জিম্মি ও বন্দি বিনিময়ের লক্ষ্যে গাজায় যে যুদ্ধবিরতি চলছে, তা বাড়াতে ইচ্ছুক ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস। সংগঠনটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে, যুদ্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ করে গাজার বেসামরিক লোকজনের জন্য একটি ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গঠনে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর গাজা উপত্যকায় মরণঘাতী হামলা থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষায় একটি দীর্ঘমেয়াদি যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক চাপ বেড়েই চলেছে। খবর এএফপির।
হামাসের হাতে আটক ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার সর্বশেষ ঘটনার পর হামাসের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, সংগঠনটি গাজায় বেসামরিক লোকজনের কাছে সাহায্যপণ্য পৌঁছাতে সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়াতে রাজি আছে। তবে এ বিষয়ে ইসরায়েল এখনও কোনো সাড়া দেয়নি।
এদিকে আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সাতদিনের যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হতে যাওয়ার কাছাকাছি সময়ে এসে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ইসরায়েল ও পশ্চিম তীরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। তেল আবিবে সাংবাদিকদের উদ্দেশে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে আমরা দেখতে চাই, যুদ্ধ থামানোর এই প্রক্রিয়া আরও সামনে এগিয়ে যাবে। আমরা চাই, যুদ্ধবিরতি অষ্টম দিনে যাবে এবং তা আরও বাড়তে থাকবে।’
অ্যান্টনি বিলঙ্কেন বলেন, ‘ইসরায়েলকে অবশ্যই নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে হবে, বেসামরিক লোকদের রক্ষায় মানবিক পরিকল্পনা নিতে হবে। এর মধ্যে থাকতে হবে গাজার দক্ষিণাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে কিছু বিশেষ এলাকা প্রতিষ্ঠা করা, যেগুলো হবে নিরাপদ ও গোলাগুলির আওতার বাইরে।’
গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি বাড়াতে তারা খুবই আগ্রহী। ওই সূত্রটি আরও জানায়, যুদ্ধবিরতি আরও একদিন বাড়াতে এবং তা অব্যাহত রাখতে মধ্যস্থতাকারীরা ক্রমাগত বেশ বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর প্রতিশোধমূলক পাল্টা হামলায় ইসরায়েল গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তার শিকার সাধারণ গাজাবাসীর কাছে আরও চিকিৎসা সামগ্রী, খাবার ও জ্বালানি তেল পৌঁছাতে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলো।