বাংলাদেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ উল্লেখ করার মতো বাড়েনি
বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর দেশটি থেকে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের হাতে আটক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া লোকজনের সংখ্যা গত ছয় বছরে উল্লেখ করার মতো বাড়েনি। ভারতীয় গণমাধ্যম দি হিন্দু এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য প্রকাশ করেছে। ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, এই সময়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের ক্ষেত্রেও লোকজনের সংখ্যাও তেমন বাড়েনি।
দি হিন্দুর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে যাবার দিন থেকে (৫ আগস্ট) নভেম্বরের ২৭ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে অবৈধপথে ভারতে প্রবেশের সময় আন্তর্জাতিক সীমান্তে ১৯৯৩ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর গত ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে গ্রেপ্তারের এই সংখ্যা ছিল ১১৪৪ জন।
এ বছর এখন পর্যন্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া ৩৯০৭ জনকে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে গ্রেপ্তার করা; হয়েছে যার মধ্যে ভারতীয়সহ অন্যান্য দেশের নাগরিকও রয়েছে। এর আগে ২০২৩ সালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া মোট ৫০৯৫ জন লোককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল; যার মধ্যে বাংলাদেশি ছিল ৩১৩৭ জন।
এছাড়া দি হিন্দুর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ৮৭৩ জন ভারতীয়কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অর্থাৎ ৫ আগস্ট থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় গ্রেপ্তার করা হয় ৩৮৮ জনকে। এ বছর অন্যান্য দেশের আরও ১০৯ জনকে সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়, যাদের মধ্যে রয়েছে মিয়ানমারের নাগরিকও।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় ২০১৮, ২০১৯, ২০২০, ২০২১ ও ২০২২ সালে সীমান্ত অতিক্রম করে আসা ও গ্রেপ্তার হওয়া বাংলাদেশি নাগরিকের সংখ্যা যথাক্রমে ২৯৯৫, ২৪৮০,৩২৯৫, ২৪৫১ ও ৩০৭৪ জন।
দি হিন্দুর প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি বাংলাদেশে সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে বিএসএফ তাদের নজরদারি জোরদার করেছে।