ড. মুহম্মদ আনিসুল হক
ড. মুহম্মদ আনিসুল হক দেশের প্রবীণতম জ্যোতিষী হস্তরেখাবিদ ও মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শদাতাদের অন্যতম। তাঁর জন্ম ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দের ১ জুন ফেনী জেলার বন্দুয়া দৌলতপুর গ্রামে। ১৯৭৬ সাল থেকে তিনি পেশাদার জ্যোতিষী, হস্তরেখাবিদ ও মনস্তাত্ত্বিক পরামর্শদাতা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৭৯ সালে তিনি বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রলজার্স সোসাইটি গঠন করেন এবং এর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ছিলেন। জ্যোতিষ ও হস্তরেখা বিজ্ঞান শিক্ষার উদ্দেশ্যে তিনিই প্রথম বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব অ্যাস্ট্রলজি প্রতিষ্ঠা করেন এবং বর্তমানে তিনি এই ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক। ১৯৮৩ সালে তাঁর উদ্যোগে এশিয়ান অ্যাস্ট্রলজার্স কংগ্রেস গঠিত হয়। নেপালের রয়েল অ্যাস্ট্রলজার ড. মঙ্গলরাজ জ্যোশী এবং ড. মুহম্মদ আনিসুল হক ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও মহাসচিব ছিলেন। ড. জ্যোশী পরলোকগমন করার পরে ড. আনিসুল হক এশিয়ান অ্যাস্ট্রলজার্স কংগ্রেসের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে ভারতের কাশি বোর্ড অব পণ্ডিত সভা অ্যান্ড বিদ্যাপীঠ থেকে তাঁকে জোতিষশাস্ত্রে পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। সম্প্রতি দীর্ঘ ৪০ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এই জ্যোতিষীকে ভারতের সেন্টার অব অ্যাস্ট্রলজিক্যাল স্টাডি অ্যান্ড রিচার্স ফর পাবলিক ওয়েলফেয়ার উপাধিতে ভূষিত করা হয়। ড. আনিসুল হক একজন আজন্ম পরিব্রাজক এবং তিনি বহু দেশ ভ্রমণ করেছেন। তিনি সাংবাদিকতার সঙ্গেও সম্পৃক্ত রয়েছেন। তিনি দৈনিক আল আমীন-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং বাংলাদেশ সাহিত্য ও সংস্কৃতি পরিষদের সভাপতি। তিনি আসমুদ্র হিমাচল, দেশ-রাজনীতি ও বঙ্গবন্ধু এবং জ্যোতিষের দৃষ্টিতে দেশ ও নেতা, গ্রহরাশি জীবন প্রভৃতি বহু গ্রন্থের প্রণেতা।