উড়ন্ত হোয়াইট হাউস
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান। নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাসংবলিত এই বিমানে আছে প্রেসিডেন্টের কাজ করার সুবিধা। তাই একে বলা হয় উড়ন্ত হোয়াইট হাউস।
সুবিশাল এয়ারফোর্স ওয়ান উড়োজাহাজটি নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
এয়ারফোর্স ওয়ান সম্পর্কে বিশেষ কিছু তথ্য
• ১৯৫৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিমানের পথে একটি বাণিজ্যিক বিমান প্রবেশ করে। এ ঘটনার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে বহনকারী বিশেষ বিমানের সাংকেতিক নাম হয় ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’।
• বিমানটি একটি কার্যালয়ের মতো করে সাজানো। নিজস্ব টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। মোট ৮৭টি টেলিফোন ও ১৯টি টেলিভিশন আছে।
• এয়ারফোর্স ওয়ানের মতোই দেখতে আরো দুটি বোয়িং উড়োজাহাজ আছে। এগুলো ফাঁদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া আছে একটি চার্টার্ড জেট বিমান। এতে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ও নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা থাকেন।
• এয়ারফোর্স ওয়ান স্বনিয়ন্ত্রিত। বিমানের মধ্যেই খাবার তৈরির ব্যবস্থা আছে।
এয়ারফোর্স ওয়ানে আরো আছে
• অপরারেশন টেবিল, জরুরি চিকিৎসা যন্ত্রপাতি ও ওষুধসমৃদ্ধ একটি চিকিৎসাকেন্দ্র।
• এতে আছে বিশেষ টেলিযোগাযোগ কেন্দ্র। পারমাণবিক বোমার কারণে সৃষ্ট তেজস্ক্রিয়ার মধ্যেও এই যোগাযোগব্যবস্থা কাজ করবে। পুরো বিমানে ৩৮৬ কিলোমিটার দীর্ঘ তার ছড়ানো।
• বিমানে সব সময়ই একজন চিকিৎসক ও নার্স থাকেন। প্রেসিডেন্ট চাইলে বিমান থেকেই জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিতে পারেন।
• বিমানে সম্মেলন কক্ষ আছে। এখানে থাকা প্লাজমা টিভিতে প্রয়োজনে টেলিকনফারেন্স করা সম্ভব।
এয়ারফোর্স ওয়ানের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে বিমানকে রক্ষায় আছে অত্যাধুনিক নিরাপত্তাব্যবস্থা। বিশেষ ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী ব্যবস্থা রশ্মির মাধ্যমে হামলাকারী ক্ষেপনাস্ত্রের গতিপথ পরিবর্তন করে দিতে পারে।
এয়ারফোর্স ওয়ানের গঠন
ধরন : বোয়িং ৭৪৭-২০০বি
বিমানের কর্মচারী : দুজন পাইলটসহ ২৬ জন
ধারণক্ষমতা : ৭৮ জন
বিমানের দৈর্ঘ্য : ৭০ দশমিক ৬ মিটার
দুই পাখার দৈর্ঘ্য : ৫৯ দশমিক ৮ মিটার
উচ্চতা : ১৯ দশমিক ৩ মিটার
সর্বোচ্চ ওজন : তিন লাখ ৭৫ হাজার কিলোগ্রাম
উড়ন্ত অবস্থায় গতি : ঘণ্টায় ৯২৫ কিলোমিটার।
উড্ডয়ন ক্ষমতা : ১৩ হাজার কিলোমিটার