টয়োটার চালকবিহীন গাড়ি আসবে ২০২০ সালে
চালকবিহীন গাড়ি তৈরিতে এবার নামল জাপানের বিশ্বখ্যাত অটোমোবাইল প্রতিষ্ঠান টয়োটা। ইতিমধ্যে টোকিওর শুতো এক্সপ্রেসওয়েতে একটি গাড়ি পরীক্ষাও করা হয়েছে। লেক্সাস জিএসের ‘চালকবিহীন’ সংস্করণটি চলার জন্য প্রায় সব কিছু স্বয়ংক্রিয়ভাবে সম্পন্ন করেছে এই ‘টেস্ট-রাইড’-এ।
এর মধ্যে ছিল হাইওয়ের সাথে যুক্ত হওয়া, লেন পরিবর্তন করা এবং অন্যান্য গাড়ির সাথে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে চলা। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টয়োটা এখন পরীক্ষানিরীক্ষা চালালেও গাড়িটি উন্মুক্ত হবে ২০২০ সালে, যখন টোকিওতে অলিম্পিক গেমস অনুষ্ঠিত হবে।
টয়োটা জানায় গাড়িটিতে বিভিন্ন ধরনের সেন্সর ব্যবহার করা হয়েছে, যার মাধ্যমে গাড়িটি অন্য কোনো গাড়ির উপস্থিতি কিংবা কোনো ধরনের বিপত্তি বুঝতে পারবে। এ ছাড়া সেন্সরের মাধ্যমে গাড়িটি তার জন্য সঠিক রুট এবং লেন ঠিক করতে পারবে গন্তব্য অনুযায়ী।
ইনপুট করা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে গাড়িটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্টিয়ারিং হুইল ঘুরাতে এবং অ্যাকসেলেটর ও ব্রেক কষতে পারবে, যে কাজগুলো সাধারণত একজন চালক করে থাকে। তবে বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে বোঝা যাচ্ছে, গাড়িটি আসলে সোজা রাস্তাতেই এখন পর্যন্ত চলতে শিখেছে ভালো করে।
টয়োটা ২০২০ সালে গাড়িটি বাজারে আনার কথা বললেও শহুরে রাস্তাতে চলার জন্য গাড়িটি উপযুক্ত হবে নাকি, তা পরিষ্কার করেনি। তবে আশা করা যায় এই সময়ের মধ্যে ত্রুটিগুলো সারিয়ে নিতে পারবে এই অটো জায়ান্ট।
স্বয়ংক্রিয় গাড়ি তৈরির প্রতিযোগিতায় টয়োটা সর্বশেষ সদস্য হিসেবে যোগদান করল। এর আগে সিলিকন ভ্যালির গুগল, টেসলা আর ক্রুজের মতো টেক এবং অটো জায়ান্টরা তাদের চালকবিহীন গাড়ি তৈরির সংবাদ নিশ্চিত করেছিল।
গত সপ্তাহে জেনারেল মোটরস জানিয়েছিল তাদের কর্মকর্তারা ইতিমধ্যে গবেষণার কাজে চালকবিহীন গাড়িতে চড়া শুরু করে দিয়েছেন। নিসান তো কথা দিয়ে রেখেছে ২০১৬ সালে যত দ্রুত সম্ভব জাপানের রাস্তায় তারা স্বয়ংক্রিয় গাড়ি নামাবে।
গুগল ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় তাদের চালকবিহীন গাড়ি পরীক্ষা করিয়েছে। আর টেসলার প্রধান কর্মকর্তা এলোন মুস্ক গত জুলাইতেই জানিয়েছেন চালকবিহীন গাড়ি রাস্তায় নামাতে তাঁরা প্রায় তৈরি। গুজব আছে চালকবিহীন গাড়ি নির্মাতার এই তালিকায় যোগ হতে পারে অ্যাপলের নামও।