তেলসাশ্রয়ী হিরো স্প্লেন্ডার আইস্মার্ট
হিরোর স্প্লেন্ডার সিরিজের নতুন মোটরবাইক আইস্মার্ট। স্প্লেন্ডার সিরিজের অন্যান্য মোটরবাইকের চেয়ে দেখতে এটি বেশ আলাদা এবং আকর্ষণীয়। সেই সাথে জ্বালানিসাশ্রয়ী প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে বাইকটি। তাই এটি নিয়ে আগ্রহ রয়েছে বাইকারদের।
শহুরে বাসিন্দা যাদের প্রতিদিনই জ্যাম পেরিয়ে অফিস করতে হয় তাদের কথা মাথায় রেখেই বাইকটি তৈরি করেছে হিরো। আইস্মার্টের একটি রিভিউ প্রকাশ করেছে মোটরবাইকবিষয়ক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘বাইকওয়ালে’। বাংলাদেশেও পাওয়া যাচ্ছে বাইকটি, তাই ক্রেতাদের কথা মাথায় রেখে বাইকটির রিভিউ দেওয়া হলো।
আগে মোটরবাইক নির্মাতা হিরো এবং হোন্ডা একসাথে মোটরবাইক বানাত ‘হিরো হোন্ডা’ নামে। সেখান থেকে আলাদা হয়ে ‘হিরো মটোকর্প’ নামে নিজেদের মোটরবাইক বানানো শুরু করেছে।
স্প্লেন্ডার আইথ্রি স্মার্ট তৈরি করেছে হিরো মটোকর্প। এটির ডিজাইনে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। স্প্লেন্ডার সিরিজের সাদাসিধে লুক ভেঙে একে দেওয়া হয়েছে আধুনিক আরবান বাইকিংয়ের লুক। স্প্লেন্ডার এনএক্সজি মডেলকেই আরেকটু আধুনিক করে এর বডি তৈরি করা হয়েছে।
সিলভারের সাথে রয়েছে লাল, কালো, নীল ও ধূসর রঙের মিশেল। এর স্পিডোমিটার অ্যানালগ, সাথে রয়েছে ফুয়েল এবং আইথ্রিএস ইন্ডিকেটর। এর রয়েছে ৯৭.২ সিসি এয়ার কুলড সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন।
এতে নতুন যোগ করা হয়েছে আইস্মার্ট প্রযুক্তি। আইডল স্টার্ট স্টপ সিস্টেমের সংক্ষিপ্ত রূপ আইথ্রিএস। ঢাকার মতো বড় শহরগুলোতে যেখানে প্রতিদিনই জ্যাম পেরিয়ে মোটরবাইক চালাতে হয়, সেখানকার ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে এই বাইকটি।
আইথ্রিএস অপশন চালু থাকলে আপনি যদি হোন্ডাটি নিউট্রাল গিয়ারে নিয়ে ক্লাচ ছেড়ে দেন, তাহলে চার সেকেন্ডের মধ্যেই এটি হোন্ডার ইঞ্জিন বন্ধ করে দেবে। এতে আপনার বাড়তি তেল খরচ হবে না। আর যখন সিগন্যাল ছেড়ে দেবে তখন গিয়ারে দিলেই চালু হয়ে যাবে বাইকটি। বাড়তি জ্যামে তেল বাঁচাবে এই প্রযুক্তি।
আইথ্রিএস প্রযুক্তি ব্যবহার করে এটি হিরোর প্রথম মোটরবাইক। প্রযুক্তিটি নিয়ে আরো গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে তারা। সামনে এই প্রযুক্তির আরো বেশ কয়েকটি বাইক নিয়ে আসতে পারে হিরো মোটোকর্প।