অটোরিকশাচালককে মারধর, পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়ার পর মৃত্যুর অভিযোগ
নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে পুলিশের নির্যাতনে সিএনজিচালিত এক অটোরিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে বলে তাঁর ছোট ভাই অভিযোগ করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ জানিয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ওই চালকের মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী ভাটপাড়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে।
নিহত অটোরিকশাচালকের নাম মান্নান। তিনি বেলাব উপজেলার টাংগাই গ্রামের মৃত ইমাম উদ্দিনের ছেলে।
নিহত মান্নানের ছোট ভাই মিলন বলেন, ‘মঙ্গলবার বিকেলে মান্নান তাঁর সিএনজিতে ভাড়া নিয়ে গাজীপুরের কালীগঞ্জ থেকে ফিরছিলেন। এ সময় ঘোড়াশাল ব্রিজ এলাকার নরসিংদী সীমান্তে পৌঁছালে ঘোড়াশাল ফাঁড়ির দুই পুলিশ সদস্য সিএনজি থামিয়ে মান্নানকে মারধর করে ধরে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর আমরা ঘোড়াশাল ফাঁড়িতে গিয়ে মান্নানের লাশ পড়ে থাকতে দেখি। পরে তাঁকে ঘোড়াশালের রৌশন জেনারেল হাসপাতালে ও পরে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।’
এ খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী রাতে টঙ্গী-পাঁচদোনা সড়কের ভাটপাড়া এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। খবর পেয়ে জেলা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে জনগণকে ছত্রভঙ্গ করে অবস্থা স্বাভাবিক করেন। পরে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে তারা ঘরে ফিরে যায়।
এ ব্যাপারে সহকারী পুলিশ সুপার সাহেদ আহমেদ জানান, মৃত মান্নান হার্টের রোগী ছিলেন। তিনি লকডাউনের মধ্যে সিএনজি চালিয়ে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে কালীগঞ্জ যান। আসার সময় পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। সিএনজিচালকের মৃত্যুর ঘটনায় রাতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুদিনের মধ্যে পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট দাখিল করার কথা রয়েছে।