অর্থ আত্মসাতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক, ঠিকাদার ও এক সহকারী ইঞ্জিনিয়ারের বিরুদ্ধে এক কোটি ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া জেলা দায়রা জজ বিশেষ আদালতের বিচারক শেখ আবু তাহেরের আদালতে দুদক প্রধান কার্যালয় ঢাকার উপসহকারী পরিচালক মো. শহিদুর রহমানের দেওয়া এজাহারটি আদালত আমলে নিয়ে আগামী সপ্তাহে শুনানিসহ আদেশের দিনধার্য করেন।
দুদকের করা এই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা শহরের হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের (অবসরপ্রাপ্ত) তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আবু হাসানুজ্জামান (৬১), আশুলিয়া নিশ্চিতপুর গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকা মহাখালীস্থ স্বাস্থ্য দপ্তরের সাবেক সহকারী ইঞ্জিনিয়ার (অবসরপ্রাপ্ত) এ এইচ এম আব্দুল কুদ্দুস (৬১) এবং ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স প্যারাগন এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাআধিকারী রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার ডাকরা গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহেদুল ইসলাম (৩২)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ক্রয়ের জন্য বিজ্ঞাপ্তি দেওয়া হয়। অভিযুক্তরা সরকারি ক্রয়নীতি লংঘন ও পারস্পরিক যোগসাজসে ৯টি খাতের অনুকুলে বাজারমূল্যের কয়েকগুণ বেশি মূল্য ধার্য করে। সরকারের অতিরিক্ত টাকা আত্মসাতের অভিযোগ প্রাথমিক তদন্তে সত্যতা পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যসেবা খাতে কর্মরত কর্মকর্তা হিসেবে নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজেদের পছন্দের ঠিকাদারের মাধ্যমে পাঁচটি বিল ভাউচার দাখিল করে। তারা বিপুল পরিমাণ রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করে তারা শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
সমন্বিত জেলা দুর্নীতি দমন কমিশন কুষ্টিয়ার কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট আল মুজাহিদ মিঠু মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, দুদকের সব মামলাই চূড়ান্তভাবে আদালতে দাখিলের আগে খুব বিচক্ষণতার সঙ্গে তদন্তকারী কর্মকর্তারা তদন্ত করেন। শুধুমাত্র যেসব ক্ষেত্রে সত্যতা আছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় সেগুলোই মামলা হিসেবে রুজু করা হয়। এই মামলার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। আদালত আগামী সপ্তাহে যে আদেশ দেন সেই অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সংশ্লিষ্ট দুদক কর্মকতারা।