আজকের ভোটকে ‘মডেল’ বলছে ইসি
তৃতীয় ধাপে দেশে ৯৮৬টি ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) ও নয়টি পৌরসভায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ ভোট একটি ‘মডেল’ হতে পারে বলে মনে করছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার।
আজ রোববার সন্ধ্যায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে তৃতীয় ধাপের ইউপি ভোটের পর সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সচিব।
মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘গণমাধ্যম, মাঠপর্যায়ে আমাদের নিজস্ব কর্মকর্তা ও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি যে, এই ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভায় সামান্য কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন ভোট গণনার কাজ চলছে। প্রিজাইডিং অফিসারদের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে মোট নয় হাজার ৮৭৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। যদি আমরা পার্সেন্টেজ করি, তাহলে আমাদের শূন্য দশমিক ২১ পার্সেন্ট ভোটকেন্দ্র বন্ধ হয়েছে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘মনিটরিং সেল থেকে এখন পর্যন্ত আমরা যে তথ্য পেয়েছি, ইভিএমের মাধ্যমে পৌরসভায় ৫৮ শতাংশ এবং ইউনিয়ন পরিষদে ৬৮ শতাংশ অর্থাৎ আমরা আশা করি, মোট ভোট কাস্ট হবে ৭০ শতাংশের উপরে।’
আজকের ভোটে কোনো আহত বা নিহতের ঘটনা আছে কি না, জানতে চাইলে মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার আরও বলেন, ‘বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, তাতে ২৪ জন আহত হয়েছেন। কোনো নিহত হয়নি। এই ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।’
ইসি সচিব বলেন, ‘গত ধাপে আমরা দেখেছি, কিছু প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। যদিও এগুলো কেন্দ্রের বাইরে ঘটেছে, কিন্তু ঘটেছে। আজকে একটি জীবনকেও হারাতে হয়নি। এটি আমরা মনে করি, নির্বাচন কমিশনের ল অ্যান্ড ফোর্সিং এজেন্সি ভালো কাজ করেছেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা ভালো কাজ করেছেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা ভালো কাজ করেছেন। প্রার্থী এবং তাদের ফলোয়ার্স যারা তারা কিছুটা হলেও সহনশীল ছিলেন। আমি তো মনে করি আজকে যে ভোট হয়েছে, এটা একটি মডেল হতে পারে।’
ইসি সচিব আরও বলেন, ‘নয় হাজার ৮৭৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৪ জন আহত হয়েছেন। যেটি আমি বলেছি পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় হয়ে থাকে। এই ঘটনাগুলো ঘটতেই পারে। এটিকে আমি মনে করি স্বাভাবিকভাবে দেখা দরকার। তবে নির্বাচন কমিশন প্রত্যাশা করে একটি ঘটনাও যেন না ঘটে। এই জন্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ল অ্যান্ড ফোর্সেস এজেন্সি কাজ করে যাচ্ছে, জেলা প্রশাসন কাজ করছে।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন সবসময় অ্যাকটিভ ছিলো। নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং এটি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সবসময় কাজ করে যায়। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকরা যদি অতি আবেগি হয়ে না যায়, যে কোনোভাবে বিজয় অর্জন করতেই হবে, এই ধরনের মনোভাব যদি পোষণ না করেন। তাহলে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না। আজকে যেটা ঘটেছে, আমি মনে করি এটা একটা মডেল।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীর, ইসির যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান ও যুগ্ম সচিব ও পরিচালক (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান।