আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগের দুই মামলা
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের নামে দুটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের দুই নেতা মামলা দুটি করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় ছাত্রলীগের হামলা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারামারির পর মামলা দুটি করা হয়।
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন ও আমিনুর রহমান ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৫ নেতা-কর্মী ও অজ্ঞাতনামা ১৪০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানায় দুটি পৃথক মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১৪ ও ১৫।
আজ ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার মামলা দুটি করা হয়েছে। রাজু ভাস্কর্যের সামনে একজনের মাথায় আঘাত করে জখমের ঘটনায় একজন মামলা করেছেন। অন্যজন মামলা করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে তাঁকে ঘুষি দিয়ে দাঁত ভেঙে ফেলার অভিযোগে।’
হামলা ও মারামারির ঘটনার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা (ঢাবি) ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি আকতার হোসেনসহ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা পুলিশ।
দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ শনিবার সকালে ছাত্র অধিকার পরিষদের ২৪ নেতাকর্মীকে আদালতে পাঠিয়েছে শাহবাগ থানা পুলিশ। এ কারণে ওই নেতা-কর্মীদের থানায় আটকে রাখার প্রতিবাদে পল্টন থেকে শাহবাগ থানা অভিমুখে গণ অধিকার পরিষদের ডাকা স্বেচ্ছায় কারাবরণ কর্মসূচি পল্টন থেকে পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের দিকে গেছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে ‘আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদ’–এর ব্যানারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে স্মরণসভার আয়োজন করে ছাত্র অধিকার পরিষদ। সেখানে ছাত্রলীগ হামলা করে তাদের ধাওয়া দিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়। হামলায় পরিষদের অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে সেখানে গিয়েও তাঁদের পেটায় ছাত্রলীগ। বিকেলে মেডিকেল থেকে পরিষদের অন্তত ২৪ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে শাহবাগ থানা-পুলিশ।
এদিকে শাহবাগ থানা থেকে নেতা-কর্মীদের আদালতে পাঠানোর কারণে পূর্বঘোষিত স্বেচ্ছায় কারাবরণের মিছিল শাহবাগের পরিবর্তে আদালতের দিকে যাচ্ছে বলে প্রথম আলোকে জানান গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক।