আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে, সাংবাদিকদের পরী মণি
মাদক মামলায় চিত্রনায়িকা পরী মণি ও তাঁর সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুর ফের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাসের আদালত এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশের পর পরী মণি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা তদন্ত করেন, আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এরপর দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কড়া নিরাপত্তায় আদালত থেকে তাকে বের করেনেন।
এর আগে আদালতে তাদের হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত সংস্থা সিআইডি। শুনানি শেষে আদালত দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরী মণিকে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে আদালতের এজলাসে হাজির করা হয়। শুনানির শুরুতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আবু বলেন,পরী মণিকে মাদক কে দিলো, এ উৎস না জানলে দেশ থেকে মাদক নির্মুল হবে না। তার বাসায় কারা কারা এসে সেবন করতো তার তথ্য উদ্ধার করা দরকার; এ জন্য পুনরায় তাকে রিমান্ড নেওয়া প্রয়োজন।
অপরদিকে পরী মণির আইনজীবী নীলাঞ্জনা বলেন,পরী মণি গত চারদিন এক পোশাকে রয়েছে। তাঁকে ষড়যন্ত্র করে ফাঁসানো হয়েছে। এ সময় পরি মণি এজলাসের কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তখন তাঁর আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করেন।
জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করে বলেন, পরী মণি ইচ্ছা করে কাপড় পরিবর্তন করেনি, এটা তাঁর রাজনীতি। রাষ্ট্রপক্ষের এ বক্তব্যর পর আদালতে হাসির রোল পড়ে যায়। পরে আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পরী মণি ও তাঁর সহযোগী দীপুর দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ ও তার ম্যানেজার সবুজ আলীকে মাদক মামলায় দুই দিন ও পর্নোগ্রাফির মামলায় চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত। উভয় মামলায় তাদের মোট ছয় দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
এর আগে মাদক মামলায় দুজনকে হাজির করে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত উভয়ের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় উভয়ের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে শুনানি শেষে চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চিত্রনায়িকা পরী মণিসহ সবাইকে আদালতে হাজির করে হাজতখানায় রাখা হয়। গত ৪ আগস্ট পরী মণি ও রাজকে গ্রেপ্তার করে র্যাব