আসামিদের সম্পর্কে প্রকাশিত তথ্য আমাদের শিহরিত করে : এমপি হারুন
পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবি করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ। এ সময় তিনি সব ধরনের বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধেরও দাবি জানান।
আজ বুধবার সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনার বিচারের দাবিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিএনপির উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপির এই সংসদ সদস্য এসব কথা বলেন। সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কোর্ট চত্বরে সদর থানা ও পৌর বিএনপির যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে বিএনপির বিভিন্নস্তরের নেতাকর্মীসহ যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সংসদ সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন, ‘যদিও এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সরকার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে এবং তদন্ত চলছে। সুতরাং আজকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য আসছে, আজকে যারা এই অপরাধের সঙ্গে জড়িত, যারা এই ঘটনাগুলো সংঘটিত করেছে, তাদের বিভিন্ন তথ্য আজকে বিভিন্নভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। যা আমাদের শিহরিত করে, আমাদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়।’
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচি চলাকালে আরো বক্তব্য দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানা বিএনপির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম তসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী পরিষদের জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট নুরুল হক সেন্টু প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তরা, সিনহা রাসেদ নিহতের ঘটনার কঠোর সমালোচনা করেন। দেশে যেন এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটে সেজন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও দাবি জানান।
গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশ কর্মকর্তা লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করে।
পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। এতে নয়জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, উপপরিদর্শক (এসআই) নন্দদুলাল রক্ষিত, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।