ওয়াসিমের মৃত্যু চলচ্চিত্র অঙ্গনের বিশাল ক্ষতি : সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
বাংলা চলচ্চিত্রের সোনালি দিনের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ওয়াসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
আজ রোববার এক শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
শোকবার্তায় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়াসিম ছিলেন ঢাকাই সিনেমার একসময়ের সুপারস্টার নায়ক। তিনি বেশ কয়েকটি সুপারহিট ছবি উপহার দেওয়াসহ সর্বমোট ১৫২টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। তাঁর মৃত্যু বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য এক অপূরণীয় ক্ষতি। তিনি তাঁর অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এ দেশের চলচ্চিত্রপ্রেমী মানুষের হৃদয়ে দীর্ঘদিন বেঁচে থাকবেন।’
চিত্রনায়ক ওয়াসিম রাজধানীর শাহাবুদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪০ মিনিটে মারা যান।
দেড় শতাধিক সিনেমার নায়ক ছিলেন ওয়াসিম। সত্তর-আশ দশকে ঢাকাই সিনেমার অ্যাকশন এবং ফ্যান্টাসি নায়ক হিসেবে অপ্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হতো তাঁকে। হাতেগোনা অল্প কিছু সিনেমা ছাড়া এই নায়কের প্রতিটি সিনেমাই হয়েছিল সুপারহিট। ১৯৭৩ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত শীর্ষ নায়কদের একজন ছিলেন তিনি।
প্রখ্যাত চিত্রপরিচালক এস এম শফীর হাত ধরে চলচ্চিত্রজগতে অভিষেক ঘটে ওয়াসিমের। ১৯৭২ সালে শফী পরিচালিত ‘ছন্দ হারিয়ে গেলো’ চলচ্চিত্রের সহকারী পরিচালক হন তিনি। এতে ছোট একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন। ১৯৭৪ সালে আরেক প্রখ্যাত চিত্রনির্মাতা মহসিন পরিচালিত ‘রাতের পর দিন’ চলচ্চিত্রে প্রথম নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ তাঁর। চলচ্চিত্রটির অসামান্য সাফল্যে রাতারাতি সুপারস্টার বনে যান তিনি। তবে ১৯৭৬ সালে মুক্তি পাওয়া এস এম শফী পরিচালিত ‘দি রেইন’ সিনেমা তাঁকে ব্যাপক পরিচিতি এনে দেয়।
চিত্রনায়ক ওয়াসিমের মৃত্যুতে বিনোদন অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।