করোনার উপসর্গ থাকা রোগীকে সেবা : চাঁদপুরে চিকিৎসক ও নার্স কোয়ারেন্টিনে
করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে আজ মঙ্গলবার ভর্তি হওয়া এক তরুণীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও নার্সকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার তরপুরচন্ডী গ্রামের ওই তরুণীকে বর্তমানে আইসোলেশনে রাখা হলেও তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কি না, তা নিশ্চিত নয়। বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ খবর জানিয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এ এইচ এম সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, ‘মেয়েটি জ্বর, সর্দি-কাশি এবং শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। স্বজনরা হাসপাতালে নিয়ে আসার পর আমরা তাকে করোনায় আক্রান্ত হতে পারে সন্দেহে আইসোলেশনে ভর্তি করেছি।’
‘তার নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকার আইইডিসিআর-এ পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে রির্পোট আসার পর করোনা আক্রান্ত কি না, নিশ্চিত হওয়া যাবে,’ যোগ করেন ডা. এ এইচ এম সুজাউদ্দৌলা রুবেল।
আরএমও সুজাউদ্দৌলা আরো বলেন, ওই তরুণীর স্বজন এবং হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেওয়া চিকিৎসক ও যারা রোগীকে স্পর্শ করেছে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াতউল্লাহ জানান, গত বৃহস্পতিবার থেকে গত সোমবার র্পযন্ত মোট ২৪ জনের নমুনা পাঠানো হয়েছে আইইডিসিআর কেন্দ্রে। এর মধ্যে মতলব উত্তর উপজেলার মুন্সিকান্দি গ্রামের মৃত জুলেখা বেগমসহ ১৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি সাতজনের রিপোর্ট অপেক্ষামান রয়েছে।
বর্তমানে জেলার হাইমচরে ভারত থেকে আসার একজন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, জেলায় সর্বমোট দুই হাজার ১৭৪ জন এখন কোয়ারেন্টিনমুক্ত। তবে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘অনেকেই বিভিন্ন জেলা/জায়গা থেকে নদীপথে চাঁদপুরে আসছেন। এদের আসা ঠেকানো দরকার। না হয় চাঁদপুরের এপর্যন্ত ভালো পরিস্থিতি যেকোনো সময় খারাপ হতে পারে।’