করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন সাড়ে ১১ লক্ষাধিক মানুষ
দেশে এ পর্যন্ত সাড়ে ১১ লক্ষাধিক মানুষ করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। টিকার এই ডোজ গ্রহণকারীর সংখ্যা ১১ লাখ ৫১ হাজার ৭৬৭। এর মধ্যে পুরুষ সাত লাখ ৮০ হাজার ৭৫৯ এবং নারী তিন লাখ ৭১ হাজার আটজন।
এদিকে টিকার প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ৫৬ লাখ ৯৯ হাজার ৪২ জন। এর মধ্যে ৩৫ লাখ ৩৩ হাজার ৬৫৫ জন পুরুষ এবং নারী ২১ লাখ ৬৫ হাজার ৩৮৭।
এ ছাড়া আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ৭১ লাখ ৪ হাজার ৫৬৩ জন মানুষ টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে দুই লাখ ২১ হাজার ৬১৬ জন টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৪৩ হাজার ৩০৩ এবং নারী ৭৮ হাজার ৩১৩ জন। আর প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ সাত হাজার ৬৬৬ এবং নারী চার হাজার ৪৯১ জন।
এ পর্যন্ত ঢাকা বিভাগে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন তিন লাখ ৩৯ হাজার ৫৩ জন। এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে এক লাখ ৬৬ হাজার ৮৪৭ জন। ঢাকা বিভাগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১৭ লাখ ৬৫ হাজার ৪৪৯ ও ঢাকা মহানগরীতে নিয়েছেন আট লাখ ৯৬ হাজার ৯০৯ জন।
ময়মনসিংহ বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৬ হাজার ৫৫৬ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন দুই লাখ ৮৩ হাজার ৪২৫ জন। চট্টগ্রাম বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ৮৯০ জন, প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন ১১ লাখ ৫৩ হাজার ১৬ জন।
রাজশাহী বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ২১ হাজার ২৯৭ জন, প্রথম ডোজ ছয় লাখ ৫২ হাজার ৮৩০ জন। রংপুর বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ১০ হাজার ৩৮১ জন, প্রথম ডোজ পাঁচ লাখ ৮৫ হাজার ৩৪১ জন। খুলনা বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন এক লাখ ৩৩ হাজার ৮৩৭ জন, প্রথম ডোজ সাত লাখ ১৭ হাজার ৯৫৪ জন।
বরিশাল বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৯ হাজার ৬৯৮ জন, প্রথম ডোজ দুই লাখ ৪৫ হাজার ২৯৪ জন এবং সিলেট বিভাগে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৮৭ হাজার ৫৫ জন, প্রথম ডোজ দুই লাখ ৯৫ হাজার ৭৩৩ জন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি করোনার টিকা প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। ওই দিন ২১ জনকে টিকা দেওয়া হয়। পরদিন রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে ৫৪৬ জনকে পর্যবেক্ষণমূলক টিকা দেওয়া হয়েছিল।
এরপর গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশব্যাপী গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম টিকা নেওয়ার ৬০ দিন পর ৮ এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে।
দেশে টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে এখনো তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার খবর পাওয়া যায়নি।