সুনামগঞ্জে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিস্তার রোধে এবং জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে জেলার ১১ উপজেলায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। এ সময় বিভিন্ন গণপরিবহন, যাত্রীবাহী অটোরিকশা ও সিএনজিতে অভিযান চালিয়ে ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ মঙ্গলবার জেলার ১১ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এবং জেলার সদরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৃথক পৃথক গণপরবিহনসহ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দেশব্যাপী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া জেলার সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিজ নিজ অঞ্চলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। একই সময়ে সুনামগঞ্জ সদরে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে পৃথক আদালত পরিচালনা করা হয়।  বিভিন্ন গণপরিবহনে স্বাস্থবিধি মানাসহ মাস্ক পরতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি না মানায় বিভিন্ন গণপরিবহণ, যাত্রীবাহী অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় অভিযান পরিচালনা করে ৩৬ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা কার হয়।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, স্বাস্থবিধি মানতে এবং মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত নিয়মিত পরিচালনা করা হবে।

সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘দেশের অন্য জেলার তুলনায় এখনও সুনামগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত এবং সংক্রমণের হার কিছুটা কম আছে। তারপর যেহেতু সিলেট এবং মৌলভীবাজারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। প্রতিদিন সুনামগঞ্জের মানুষ বিভিন্ন কারণে সিলেটে যাওয়া-আসা করছেন তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুনামগঞ্জের জনসাধারণকে সচেতন করতে অভিযান পরিচালনা করছি। আমরা চেষ্টা করছি সবাই বাহিরে বের হলে মাস্ক পরেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন। এতে করে সংক্রমণ এড়ানো যাবে।

তিনি আরও বলেন, ‘গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি কিছুটা উপেক্ষিত হচ্ছে তাই আজকে গণপরিবহনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানাও করা হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।’