কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকাকে হত্যা করা হয়েছে, দাবি পরিবারের
নাটোরে কলেজছাত্রকে বিয়ের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহারকে (৪২) হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছ তাঁর পরিবারের স্বজনরা। শহরের বলাড়িপাড়া এলাকায় একটি ভাড়া বাসা থেকে আজ রোববার সকালে তাঁর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এরপর আটক করা হয় তাঁর স্বামী মামুন হোসেনকে (২২)। তাঁর অসংলগ্ন কথাবার্তায় হত্যার দাবি তোলেন খায়রুনের পরিবার।
খায়রুনের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বেলা পৌনে ১টার দিকে রাজশাহী থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এদলের প্রধান ছিলেন সিআইডির পরিদর্শক অনিমেশ মকুটমনি। যদিও খায়রুনের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
এর আগে সকালে নাটোর থানা পুলিশ ও পিবিআই সদস্যেরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন। বর্তমানে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর ডিগ্রি কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খায়রুন নাহার প্রেম করে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর বিয়ে করেন শহরের নবাব সিরাজ উদ দৌলা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মামুন হোসেনকে। বিষয়টি চলতি বছরের ৩১ জুলাই জানাজানি হলে এ নিয়ে খায়রুন নাহারের প্রথম স্বামী ও ছেলেসহ পরিবারের লোকজন ব্যাপকভাবে তাঁর সমালোচনা শুরু করেন। পরে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ঝড় তোলে। এরপর আজ খায়রুনের মৃত্যুর খবর এলো।
খায়রুনের স্বামী মামুনের দাবি, রাতে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন খায়রুন নাহার। ওড়না কাটার কিছু না পাওয়ায় ওড়নায় আগুন ধরিয়ে স্ত্রীকে নিচে নামান তিনি।
এদিকে, ওই ভবনের তত্ত্বাবধায়ক খলিল বলছেন, গতকাল শনিবার দিনগত রাত ২টার দিকে মামুন বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। এক ঘণ্টা পর ফিরে আসেন তিনি। এরপর ভোরে আবার বের হয়ে মামুন জানান, তাঁর স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন। এরপর নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে যান। পরে মামুনকে ঘরের ভেতর রেখে বাইরে থেকে দরজা আটকে বাড়ির মালিককে খবর দেন খলিল। পরে তাঁরা থানায় ফোন দেন।
খায়রুন নাহারের চাচাতো ভাই ইউনুস আলীর অভিযোগ—তাঁর বোনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত কারণ উদঘাটনের দাবি জানান।