কাপ্তাই লেকে বোট ডুবিতে ২ পর্যটক নিহত, শিশুসহ উদ্ধার ৫৯
জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থেকে রাঙামাটি বেড়াতে আসা একদল পর্যটকবাহী এক ইঞ্জিনচালিত বোট কাপ্তাই লেকে ডুবে অন্তত দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ৫৯ জনকে সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আজ সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের ডিসি বাংলো এলাকায় এই পর্যটকরা কাপ্তাই লেকে নৌবিহারে বের হয় এবং শেষ বিকেলে তাদের বহনকারী বোটটি লেকের পানিতে ডুবে থাকা গাছের গুঁড়ির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়। এ সময় তাদের আশপাশের বিভিন্ন নৌযান, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ অন্যদের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধার করা হয়। মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতাল নেওয়ার পর মারা যান দুই পর্যটক।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও সফরসঙ্গী পল্টু বর্মণ নিহত দুজনের নাম হেনা রাণী বর্মণ ও পুষ্প রাণী বর্মণ বলে জানিয়েছেন। তবে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন নামগুলো নিশ্চিত করতে পারেনি।
উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়া মো. সোহেল নামের এক তরুণ বলেন, ‘মানুষের চিৎকার শুনে আমরা দ্রুত উদ্ধারের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ি এবং মোটামুটি সবাইকে উদ্ধার করতে সক্ষম হই। তবে এরই মধ্যে দুজনের প্রাণহানি হয়েছে বলে জেনেছি।’
বোটডুবির ঘটনায় উদ্ধার হওয়া জয় চন্দ্র বলেন, ‘আমরা জয়পুরহাট থেকে শিবপূজা উপলক্ষে সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধামে আসি, সেখানে পূজা শেষে আজকে সকালে রাঙামাটি আসি। বোটযোগে ঘুরতে বের হলে সকালে এই একই জায়গা দিয়ে যায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডুবে থাকা গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বোটে পানি উঠে ডুবে যায়।’
রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, ‘দুই মহিলাকে মৃত অবস্থায়ই হাসপাতালে আনা হয়েছিল। আহত অপর তিনজনের মধ্যে একজনের অবস্থা এখনো শংকামুক্ত নয়। বাকিরা মোটামুটি সুস্থ আছে।’
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘সন্ধ্যায় ডিসি বাংলো এলাকায় একটি পর্যটকবাহী বোট ডুবে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন। এ সময় শিশুসহ ৫৯ জনকে উদ্ধার করা হয়। এই ধরনের দুর্ঘটনা যেন আর না ঘটে, এজন্য শিগগিরই আমরা বোট চালকদের নিয়ে বসব।’
রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ও পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ পর্যটকবাহী বোটের যাত্রীদের উদ্ধার অভিযানে দিকনির্দেশনা দেন এবং উদ্ধার হওয়া পর্যটকদের নিরাপদে একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা তাদের খাবারের ব্যবস্থা করেন।