কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় সাবেক ছাত্রদল নেতাদের প্রতিবাদ
হাইকোর্টের জামিনে থাকা মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতন আজ নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।
মুন্সীগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা ও শ্রমিক লীগের কার্যালয় ভাঙচুরের ঘটনায় করা পৃথক দুই মামলায় মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতনসহ দলটির নয় নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার দুপুরে তারা মুন্সীগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক আমজাদ হোসেন তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এক যুক্ত বিবৃতিতে নেতারা বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের জুলুম-নির্যাতন এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। মিথ্যা মামলায় হাইকোর্টের জামিনে থাকা মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্যসচিব কামরুজ্জামান রতন আজ নিম্ন আদালতে হাজিরা দিতে গেলে আদালত তাঁর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো গণবিচ্ছিন্ন সরকারের চলমান অপকর্মের অংশ।
নেতারা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধসহ রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষেত্রে সরকার নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশ থেকে সুশাসন বিলীন হয়ে যায়। তবে, সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন মোকাবিলা এবং সরকারকে ক্ষমতা থেকে উৎখাতে জনগণ এখন রাস্তায় নামতে শুরু করেছে।’
বিবৃতিতে যথাক্রমে সই করেন শামসুজ্জামান দুদু, আসাদুজ্জামান রিপন, আমান উল্লাহ আমান, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, ফজলুল হক মিলন, নাজিম উদ্দিন আলম, খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, এ বি এম মোশারফ হোসেন, আজিজুল বারী হেলাল, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, আব্দুল কাদের ভুইয়া জুয়েল, হাবিবুর রশীদ হাবিব, রাজীব আহসান, আকরামুল হাসান মিন্টু, ফজলুর রহমান খোকন ও ইকবাল হোসেন শ্যামল।
বিবৃতিতে নেতারা অবিলম্বে কামরুজ্জামান রতনের বিরুদ্ধে দায়ের করা বানোয়াট মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।