কালবৈশাখী ও বজ্রপাতে সিলেট বিভাগে ৮ জনের মৃত্যু
কালবৈশাখী ঝড় ও বজ্রপাতে সিলেট বিভাগের দুই জেলায় আট জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলায় বজ্রপাতে বাবা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে। একই জেলার জগন্নাথপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ ভেঙে পড়ায় একই পরিবারের মা ও ছেলে-মেয়ে মারা গেছে। এদিকে, হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
সুনামগঞ্জের এনটিভি অনলাইন প্রতিনিধি দেওয়ান গিয়াস চৌধুরী জানান, জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলী ইউনিয়নের সুলেমানপুরে কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরের ওপর গাছ পড়ে এক পরিবারের তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলো—হারুন মিয়ার স্ত্রী মৌসুমা বেগম (৩৫), তাঁর মেয়ে মাহিমা আক্তার (৪) এবং ছেলে হোসাইন মিয়া (১)। আজ ভোর ৪টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে রাত থেকে বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। আজ ভোর ৪টার দিকে সুলেমানপুর গ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে হারুন মিয়ার বাড়ির চালের ওপর গাছ ভেঙে পড়ে যায়। এ সময় ঘুমিয়ে থাকা হারুন মিয়ার স্ত্রী মিয়ার স্ত্রী মৌসুমা বেগম (৩৫), তাঁর চার বছরের মেয়ে মাহিমা আক্তার এবং এক বছরের ছেলে হোসাইন মিয়া নিহত হয়।
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আজ ভোরে কালবৈশাখী ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, একই জেলার শাল্লা উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাল্লা গ্রামের বাসিন্দা মকবুল খাঁ (৪৫) ও তার ছেলে মাসুদ খাঁ (১২) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির পাশের হাওর থেকে গরুর জন্য খড় আনতে যান। এ সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহন হন তারা। পরে স্থানীয়রা তাদের হাওর থেকে উদ্ধার করে পার্শ্ববর্তী আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম।
এ দিকে হবিগঞ্জে বানিয়াচংয়ে বজ্রপাতে দুই শিক্ষার্থীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এমরান হোসেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন—বানিয়াচং উপজেলার খাগাউড়া ইউনিয়নের এড়ালিয়া গ্রামের শামসুল মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৬), একই উপজেলার কাতারী মহল্লার আক্কল আলীর ছেলে শিক্ষার্থী হুসাইন মিয়া (১২) ও জাতুকর্নপাড়া মহল্লার আব্দুর রহমানের মেয়ে জুমা বেগম (১৩)।
ওসি এমরান জানান, নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ তাদের নিজ নিজ বাড়িতে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় কাজ শেষে তাদের দাফন করা হবে।