কিশোরী কাজলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়
শরীয়তপুর জেলার ডামুড্যা উপজেলায় কিশোরী কাজলকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও হত্যার পর হাত-পা বেঁধে লাশ খালে ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার অভিযুক্ত জুয়েল খান।
গ্রেপ্তারকৃত জুয়েল খান উপজেলার বড় নওগাঁ গ্রামের মো. আলী আজগর খানের ছেলে।
র্যাব-৮ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গত ২১ অক্টোবর রাতে জেলার ডামুড্যা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুলকুড়ি এলাকার আলাউদ্দিন ছৈয়ালের মেয়ে কিশোরী কাজল আক্তারকে (১৫) হত্যা করে হাত-পা বেঁধে বাড়ির পেছনের খালে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। এ ব্যাপারে ডামুড্যা থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে মো. জুয়েল খানসহ আরো দুতিন জন কিশোরী কাজলকে ধর্ষণ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এরপর হাত-পা বেঁধে লাশ খালে ফেলে দেয়। এ তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৮ অভিযান চালিয়ে আসামি জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত আসামি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর রাতে প্রতিদিনের মতো পাশের বাড়িতে টিভি দেখতে যাওয়ার কথা বলে বের হয় কিশোরী কাজল। পরে অনেক রাতেও আর ঘরে না ফেরা ফেরায় পরিবারের লোকজন প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ করে। অবশেষে না পেয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা ডোবায় লাশ দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।