কুমিল্লায় গুলিতে সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় ধোঁয়াশা
কুমিল্লার বুড়িচংয়ের হায়দ্রাবাদ সীমান্তে গুলিতে সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের একদিন পার হলেও সন্ত্রাসীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে। যদিও থানায় আসেনি অভিযোগ, হয়নি মামলা। ফলে এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। তবে 'ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের খুঁজতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে' বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। অন্যদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।
মহিউদ্দিন সরকার নাঈম নামে স্থানীয় পত্রিকার ওই সাংবাদিককে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় 'সন্ত্রাসীরা' গুলি করে বলে জানা যায়। তাঁর বাড়ি ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামে। বিজিবির বরাতে দুই যুবকের দাবি, মাদক কারবারির গুলিতে নাঈম নিহত হয়েছেন।
হায়দ্রাবাদ এলাকার রাব্বি ও রুবেল নামে ওই দুই যুবক জানান, গতকাল রাত সাড়ে ৯টার দিকে দুজন বিজিবি সদস্য মহিউদ্দিন সরকার নাঈমকে গুরুতর আহত অবস্থায় এনে হাসপাতালে নিয়ে যেতে নির্দেশ দেন। ওই সময় বিজিবি সদস্যরা জানান, সীমান্তে মারামারিতে আহত হয়েছেন মহিউদ্দিন।
পরে আহত নাঈমকে বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুজাহিদুল ইসলাম মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন জানান, সাংবাদিক নাঈম গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এদিকে বুধবার রাত ১ টায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহম্মেদসহ পুলিশের ঊধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
নিহত সাংবাদিক মহিউদ্দিনের সঙ্গে ছিলেন, এমন দাবিতে পলাশ নামে এক যুবক বলেন, 'তাঁরা সীমান্তে একটি দোকানে বসে ছিলেন। এসময় রাজুর নেতৃত্বে একটি দল এসে মহিউদ্দিনের ওপর গুলি চালায়।'