কুষ্টিয়ায় হত্যা মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলায় আলমসাধুর চালক (ইঞ্জিনচালিত ভ্যান) ইমান আলী হত্যা মামলার চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পয়ারি গ্রামের পশ্চিমপাড়ার সুজন (৩৭), একই উপজেলার ধলসা গ্রামের মিল্লিক হোসেন (৩৫), পয়ারি গ্রামের শিপন (৩৮) এবং মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার তেতুলবাড়ীয়া গ্রামের মান্নান ওরফে মানারুল (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় আসামি সুজন ও মিল্লিক হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই আসামি মানারুল ও শিপন পলাতক রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ জানুয়ারি যাত্রী বহনের উদ্দেশ্যে আলমসাধু চালক ইমান আলী তার গাড়ি নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। পরের দিন সকালে মিরপুর উপজেলার বুরাপাড়া ও পয়ারি গ্রামের মাঠের মধ্যে ইমান আলীর মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। তাকে গলাকেটে হত্যা করে আসামিরা।
খবর পেয়ে মিরপুর থানা পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জানুয়ারি মিরপুর থানায় নিহতের বড় ভাই ইকমান আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আব্দুল করিম তদন্ত শেষে আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ২৫ মার্চ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে ১০ নভেম্বর রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন আদালত।
কুষ্টিয়া আদালতের পিপি অনুপ কুমার নন্দী জানান, ইমান আলী হত্যা মামলায় অপরাধ সন্দেহীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।