রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সপরিবারে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকতের বেলাভূমি থেকে সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয়ের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করলেন। গতকাল মঙ্গলবার শেষ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে বসে সূর্যাস্তের মনোমুগ্ধকর দৃশ্য উপভোগ করেন তিনি। রাতে তিনি পর্যটন ইয়ুথ-ইন মোটেল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। সেখানে তিনি রাত্রিযাপন করেন। পরে আজ বুধবার সকালে সূর্যোদয় দেখতে যান রাষ্ট্রপতি।

রাষ্ট্রপতির কুয়াকাটা আগমনে সমুদ্রসৈকতসহ গোটা এলাকাজুড়ে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রয়েছেন তাঁর সহধর্মিণী রাশিদা খানম, ছেলে রাসেল আহমেদ তুহিন, রিয়াদ আহমেদসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে কুয়াকাটায় আসেন রাষ্ট্রপতি। তাঁর আগমনকালে স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমান মহিব, রাষ্ট্রপতির সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামিম উজ জামান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত চিকিৎসক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নিয়ামুল গনি চৌধুরীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কুয়াকাটায় রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. ইয়ামিন চৌধুরী, পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মো. শফিকুল ইসলাম, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মইনুল ইসলাম।

হেলিপ্যাড থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ তাঁর সফরসঙ্গীসহ সরাসরি পর্যটন ইয়ুথ-ইন মোটেলে চলে যান। সেখানে তিনি গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। শেষ বিকেলে রাষ্ট্রপতি কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে গিয়ে সমুদ্রসৈকতের মনোরম দৃশ্য অবলোকন করেন। সৈকতে প্রায় এক ঘণ্টা সময় অতিবাহিত করেন তিনি। দেখেন মনোলোভা সূর্যাস্তের দৃশ্য। তিনি কুয়াকাটার সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হন।

পরে আজ বুধবার ভোরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাষ্ট্রপতি সূর্যোদয় দেখতে যান। এদিন বিকেল ৩টায় তিনি পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।