কে জানত সেই দেখাই ওয়াসিমের শেষ দেখা?
মালয়েশিয়ায় করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন মারা যান মানিকগঞ্জের মোহাম্মদ ওয়াসিম। তিনি গত ২০০৬ সালে মালয়েশিয়ায় যান। দীর্ঘ দিন পর ২০১৯ সালে অল্প কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে মা-বাবার সঙ্গে দেখা করে যায়ন। কে জানত সেই দেখাই ওয়াসিমের শেষ দেখা হবে?
এদিকে, পুত্রহারা বাবা নুরুল ইসলাম দিশেহারা। স্বজন ও প্রতিবেশীরা ওয়াসিমের মাকে সান্তনা দিলেও সন্তানহারা মা যেন পাথর হয়ে বসে আছেন সন্তানের প্রতিক্ষায়। আর থেকে থেকে মোবাইলে ছবি দেখে মায়ের কান্নায় ভারি হচ্ছে ওয়াসিমের পৈত্রিক ভিটা।
পারিববারিক সূত্রে জানা যায়, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত মোহাম্মদ ওয়াসিমের (৩৮) মৃত্যু হয়েছে। তিনি সেখানে তার বড় ভাইয়ের সঙ্গে দীর্ঘ চৌদ্দ বছর দেশটির কেলাং লামায় বসবাস করে আসছিলেন।
গতকাল রোববার স্থানীয় সময় দুপুর দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ওয়াসিম। সেইসঙ্গে তার ভাই, ভাবি পরিবারের অন্য সদস্যরাও করোনায় আক্রান্ত বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়াও ওয়াসিমের পরিবারের স্বজনেরা জানান, বেশকিছু দিন ধরে ওয়াসিম করোনার উপসর্গে ভুগছিলেন এবং কয়েকদিন আগেই তাঁকে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওয়াসিম মারা যান।
নিহত ওয়াসিম মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নের বাজেয়াপ্ত ভাটোরা গ্রামের মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের ছোট ছেলে। বড় ছেলে শেখ সেলিম স্ত্রী সন্তান নিয়ে থাকেন মালয়েশিয়ায়। তিনি সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন।
এদিকে, ওয়াসিমের মৃত্যুর খবর শুনে তাঁর গ্রামের বাড়িতে স্বজনের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। কান্নায় ভেঙে পড়ছেন মা-বাবা। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সন্তানের মৃতদেহ দেশে আনা সম্ভব হচ্ছে না। তাই যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করেই মালয়েশিয়াতেই ওয়াসিমের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে।