খাগড়াছড়িতে করোনায় ও উপসর্গে ২৪ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু
পাহাড়ি জেলা খাগড়াছড়িতে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এরই মধ্যে জেলা সদর হাসপাতালে করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে এক নারীর করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল। অপর তিন জন করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
করোনায় মারা যাওয়া নারীর নাম ফিরোজা বেগম (৫৫)। তিনি গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মারা যান। তিনি দিঘীনালা উপজেলার বাসিন্দা। গত ২৭ জুন তাঁর করোনা শনাক্ত করা হয়েছিল।
এ ছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া তিনজন হলেন, মাটিরাঙ্গা উপজেলার তাইন্দং ইউনিয়নের রাজিয়া খাতুন (৭০), খাগড়াছড়ি পৌরসভার মোহাম্মদপুর কলেজগেট এলাকার আব্দুল মান্নান (৭০) ও পানখাইয়াপাড়া এলাকার আনাই মারমা (৭০)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে তিন জনের বয়স ৭০ বছর। সেখানে বেশিরভাগ রোগীই আসেন গুরুতর অবস্থায়। গুরুতর অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও বাড়িতে থাকার কারণে তাঁদের এমন অবস্থা হয়েছে। সঠিক সময়ে তাঁরা চিকিৎসা নিতে আসেননি।
খাগড়াছড়িতে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ৩৪ জন। এর মধ্যে ১২ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে ভর্তি আছে ২২ জন।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক আবিদা ফারজানা জানান, যেসব রোগী মারা গেছেন, তাঁরা হাসপাতালে এসেছেন শেষ মুহূর্তে। শেষ চেষ্টা করেও তাঁদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি। তাঁদের স্বাভাবিক করার জন্য যে সময় প্রয়োজন ছিল, তা পাওয়ার আগেই তাঁরা মারা গেছেন। আমরা যতটুকু সময় পেয়েছি, চেষ্টা করেছি। রোগীর আত্মীয়-স্বজনেরা সচেতন না হওয়ার কারণেই রোগীর অবস্থার অবনতি হয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টার জেলায় ৮২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৬ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। শনাক্তের হার ৫৬ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
সিভিল সার্জন ডা. নুপুর কান্তি দাশ জানান, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে যাঁদের করোনার উপসর্গ ছিল, তাঁদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।