খাগড়াছড়িতে স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড
যৌতুকের জন্য স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার দায়ে শাহ আলমকে (৪৬) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আজ বুধবার খাগড়াছড়ি নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালের বিচারক রেজা মো. আলমগীর হাসান এ রায় দেন। তবে আসামি এ রায়ের বিরুদ্ধে সাত কার্যদিবসের মধ্যে আপিল করতে পারবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের পর থেকে যৌতুকলোভী স্বামী শাহ আলম তাঁর স্ত্রীর ওপর প্রায়ই নির্যাতন চালাতেন। এ নিয়ে স্বামী শাহ আলমের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও হয়। পরে আসামির অঙ্গীকারনামার মাধ্যমে মামলা প্রত্যাহার হলে আবারও যৌতুকের জন্য কোহিনুর বেগমের ওপর নির্যাতন শুরু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টার দিকে রোজার দিনে ক্লান্ত শুয়ে বাইরে থেকে বন্ধ করে দেন। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে দগ্ধ কোহিনুর বেগমকে প্রথমে দীঘিনালা ও পরে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে অবস্থা আরো অবনতি হলে তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৩ দিন পর ১ অক্টোবর কোহিনুর বেগম মারা যান।
এ ঘটনায় কোহিনুর বেগমের ছোট ভাই আলম মিয়া ২০০৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা থানায় মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ৯ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোপত্র দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি অ্যাডভোকেট বিধান কানুনগো রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘মামলায় ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় ঘোষণা করেন।’