খুলনায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত বিএনপি নেতার মৃত্যু
খুলনায় সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত ফুলতলা উপজেলার পয়গ্রাম কসবা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য সাজ্জাদুর রহমান জিকো চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
গত ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে আসার সময় সন্ত্রাসীরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে। ওই সময় চিকিৎসকরা তার মাথায় ১২টি সেলাই দিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন চিকিৎসা শেষে বাড়িতে ফিরলে আবারও তাকে মারপিট করে সন্ত্রাসীরা। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার বাদ আসর মরহুমের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজে জানাজায় খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগরের সদস্য সচিব মো.শফিকুল আলম তুহিন, শেখ আবু হোসেন বাবু, ডা. গাজী আবদুল হক, এস এ রহমান বাবুল, চেয়ারম্যান আবুল বাসার, হাসনাত রিজভী মার্শাল, আব্বাস, আব্দুস সালাম, আনোয়ার হোসেন বাবু, পারভেজ ভূইয়া, আব্দুল হালিমসহ ফুলতলা উপজেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিএনপি নেতা সাজ্জাদুর রহমান জিকোর মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে বিবৃতি দিয়েছেন খুলনা মহানগর ও জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার দেয়া বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশে অংশগ্রহণ করতে আসার সময় শাসকদলের ক্যাডারদের ধারালো অস্ত্রাঘাতে বিএনপি নেতা সাজ্জাদুর রহমান জিকো মারাত্মক আহত হন। একটু সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরলে আবারও তাকে সন্ত্রাসীরা বেধড়ক মারপিট করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাজ্জাদুর রহমান জিকো বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান। বিএনপি নেতারা এক বিবৃতিতে বলেন, এই হত্যাকান্ডের বিচার খুলনার মাটিতেই হবে। যারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে। বিবৃতিদাতারা হলেন, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব এস এম মনিরুল হাসান বাপ্পী, মহানগর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তরিকুল ইসলাম জহীর, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু প্রমুখ।