গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে বিচারপতির প্রচারণা, আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ
গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের প্রচারণায় সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার অংশ নেওয়ায় প্রধান বিচারপতির কাছে আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে আবেদন জমা দিয়েছেন বিএনপিপন্থি ছয় আইনজীবী। আজ বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (বার অ্যাসোসিয়েশন) বিএনপিপন্থি ওই ছয় আইনজীবী উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রধান বিচারপতির কাছে এ আবেদন জমা দেন।
তাদের অভিযোগ, গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনে তিনি বিচারপতি হয়েও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন, যা পত্র-পত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেয়েছে। তাই এ উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে বলেও জানান অন্য আইনজীবী ও বারের সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। আগামী ১২ অক্টোবর জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার আসনে (গাইবান্ধা-৫) উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার আসনে (গাইবান্ধা-৫) উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ অক্টোবর। এ আসনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১৫ সেপ্টেম্বর, মনোনয়ন বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিলের শেষ তারিখ ১৬-১৮ সেপ্টেম্বর। আপিল নিষ্পত্তি ১৯ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ২৩ সেপ্টেম্বর।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (ইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। সভায় অন্য চার নির্বাচন কমিশনারেরও উপস্থিত ছিলেন। এ সংসদীয় আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) মাধ্যমে।
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া গত ২২ জুলাই দিনগত রাতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর দুদিন পর ওই সংসদীয় আসন শূন্য ঘোষণা করে সংসদ সচিবালয়। সংবিধান অনুযায়ী কোনো আসন শূন্য ঘোষণার ৯০ দিনের মধ্যে উপ-নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।