গাছ চুরির মামলা : কাপ্তাই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান বরখাস্ত
রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে মো. নাছির উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বুধবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ে এ-সংক্রান্ত আদেশপত্র এসে পৌঁছায়। কাপ্তাইয়ের ইউএনও মুনতাসির জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মো. নাছির উদ্দিন কাপ্তাই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পদে রয়েছেন।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত আদেশে উল্লেখ করা হয়, ‘যেহেতু তাঁর (মো. নাছির উদ্দিন) বিরুদ্ধে আদালতে ফৌজদারি মামলায় তিন বছরের সাজার একটি আদেশ হয়েছে, সে কারণে তাঁকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সাময়িক বরখাস্ত করেছে। বন বিভাগের প্রায় ৩০ লাখ টাকার বনজ সম্পদ আত্মসাতের একটি মামলায় জেল খেটেছেন তিনি।’
আদেশে আরো উল্লেখ করা হয়, চুরির মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত একজন আসামি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে আসীন থাকলে পরিষদের প্রতি জনসাধারণের শ্রদ্ধা ও আস্থা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, যা পরিষদ বা রাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য হানিকর এবং জনস্বার্থের পরিপন্থী।
গত ২৮ জানুয়ারি বন বিভাগের মামলায় রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নাসির উদ্দীনকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন রাঙামাটির আদালত। এ ছাড়া ৩০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো তিন মাসের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। একই মামলার আরেক আসামি রাহুল তংচংগ্যা ওরফে বাবুল মেম্বারকে দেড় বছর সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ, ১০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। রাঙামাটি চিফ জুডিশিয়াল আদালত-২-এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সবুজ পাল আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
রাঙামাটি জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল জানিয়েছেন, নাছির আমাদের উপজেলা কমিটির সভাপতি। তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলার রায় হয়েছে এবং তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে আসেন। আদেশের বিরুদ্ধে আপিলও করেছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তখন আমরা সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিতে পারব।’