গৃহবধূকে মারধর ও দেড় বছরের শিশুকে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ
নরসিংদীর পলাশে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে মারধর এবং তাঁর কোল থেকে দেড় বছর বয়সী শিশুসন্তানকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের কাউয়াদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পলাশ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা গেছে, এ সময় বাড়িটির বিভিন্ন আসবাব ভাঙচুর এবং স্বর্ণালংকার ও টাকা লুট করে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর পরই মা ও শিশুকে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
নির্যাতনের শিকার ওই গৃহবধূর নাম যমুনা রানী পাল (২৫)। তার দেড় বছর বয়সী শিশুটির নাম বিকি চন্দ্র দে। যমুনা কাউয়াদী গ্রামের সবুজ চন্দ্র দের স্ত্রী।
গৃহবধূর শ্বশুর সতীশ চন্দ্র দে জানান, পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিজমা নিয়ে তাঁর বোন শিউলী রানীর সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। আজ ভোরের দিকে যমুনা তাঁর দেড় বছর বয়সী শিশুকে নিয়ে বাড়িটিতে একা ছিলেন। এ সুযোগে ৮-১০ জনকে নিয়ে বাড়িটিতে আসেন শিউলী। এ সময় তাঁরা বাড়িঘর ভাঙচুর করে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে যায়। তাঁদের বাধা দিতে গেলে যমুনাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। এ সময় তাঁর কোল থেকে শিশুসন্তান বিকিকে ছিনিয়ে নিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এই দৃশ্য দেখে অচেতন হয়ে পড়েন যমুনা। পরে খবর পেয়ে সবুজ চন্দ্র দে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় তাঁদের উদ্ধার করে পলাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত শিউলী রানীর পরিবারের বসবাস বাড়িটির একই সীমানায়। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। তাঁকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি ধরেননি।
পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, ‘বিষয়টি শোনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগও পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’