গোপালগঞ্জে বিজিবি সদস্য হত্যাকাণ্ডে ৪ জনের যাবজ্জীবন
গোপালগঞ্জে বিজিবি সদস্য হিরু মিয়া হত্যাকাণ্ডের রায়ে চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদেরকে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া এ মামলার অপর ১৪ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার দুপুরে গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন মামলার রায় দেন। হিরু হত্যাকাণ্ডের ১৬ বছর পর এ রায় এলো।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, আবু সাম ওরফে সামচুল হক (৬১), রওশন শেখ (৫৬), লিয়াকত শেখ (৫৯) ও রাজা ফকির (৫৬)। রায় ঘাষণার সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন, চুন্নু ফকির (পলাতক), গিয়াস উদ্দিন (পলাতক), ছিদ্দিক শেখ (পলাতক), ফিরোজ শেখ (পলাতক), সেলিম (পলাতক), হাফিজুর রহমান, হবি শেখ, শাহ আলম ফকির, নিজাম ফকির, গোলাম রসুল, বাদশা মিয়া, সায়েদ আলী শেখ, মাহমুদ ফকির ও সালাউদ্দিন শেখ।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কাশিয়ানী উপজেলার কোড়ামারী গ্রামের বিজিবি সদস্য হিরুর মিয়ার সঙ্গে আসামিদের জমিজমা ও গ্রাম্য দলাদলি নিয়ে বিরোধ ছিল। ২০০৫ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে কোড়ামারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে হিরুকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয়। পরে তাঁকে কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
পরের দিন ২০০৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নিহত হিরুর স্ত্রী জোনাকী বেগম বাদী হয়ে ১৮ জনকে আসামি করে কাশিয়ানী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও কাশিয়ানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ওহিদুর রহমান তদন্ত শেষে ২০০৫ সালের ৩০ মে আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণ গ্রহণ শেষে চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডের আদেশ দেন। এ ছাড়া অপর ১৪ আসামিকে খালাসের আদেশ দেওয়া হয়।
বাদী পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) অ্যাডভোকেট মো. শহিদুজ্জামান খান এবং আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলুল হক খান ও অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান খান।