চট্টগ্রামে দুর্বৃত্তদের এলোপাতাড়ি গুলিতে ৩ যুবলীগ নেতা গুরুতর আহত
দক্ষিণ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় একদল দুর্বৃত্তের হামলায় উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়কসহ তিন যুবলীগনেতা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
তিন জনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে পটিয়ার জঙ্গলখাইন রাস্তার মাথা আমজুর হাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
গুলিবিদ্ধ তিন জনকে চমেক হাসপাতালের ২৪ নম্বর সার্জারি ওয়াডে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
জানা যায়, যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলমের পক্ষ থেকে আগামী ২৩ এপ্রিল পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে ইফতার মাহফিলের দাওয়াত দিতে জঙ্গলখাইন ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা রফিক আহমদকে তাঁর বাড়িতে দাওয়াত কার্ড দিতে যান উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ডি এম জমির উদ্দিন (৫২), উপজেলা যুবলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সাইফু (৩৬) ও যুবলীগের নেতা ইকবাল হোসেন (৩৯)। সেখান থেকে ফেরার পথে একদল দৃর্বৃত্ত তাঁদের লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে। এতে তিন যুবলীগ নেতা গুলিবিদ্ধ হন।
এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে গুলিবিদ্ধ ডিএম জমির উদ্দিন, সাইফুল ইসলাম সাইফু ও ইকবাল হোসেনকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তিন জনকেই চমেক হাসপাতালে রেফার করেন।
পটিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রক্তিম দাশ জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে তিন জন গুলিবিদ্ধ লোককে নিয়ে বেশ কয়েকজন হাসপাতালে আসেন। তখন আহতদের অবস্থা গুরুতর দেখে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনা প্রসঙ্গে যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বদিউল আলম বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছোট ভাই মুজিবুল হক চৌধুরী নবাবের নেতৃত্বে আমার নেতাকর্মীদের ব্রাশফায়ার করা হয়েছে হত্যার উদ্দেশ্যে।’ এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগ থেকে বহিষ্কার হওয়া জঙ্গলখাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাহাদাত হোসেন সবুজ, রানা, সোহেল, আলমগীর ও ছোট লিটন।
পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান বলেন, ‘জঙ্গলখাইন রাস্তার মাথা আমজুর হাট এলাকায় গোলাগুলির ঘটনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে আছি। সবার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছি। গুলিবিদ্ধ তিন জনকে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
তবে, গোলাগুলির ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করে হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর ছোট ভাই এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মুজিবুল হক চৌধুরী নবাব বলেন, ‘আমি বুধবার সকালে ওমরাহ হজ পালন করতে যাব। এখন পর্যন্ত আমি ওমরাহ করার কাপড়চোপড় কিনতে ব্যস্ত আছি। গত এক সপ্তাহে আমি পটিয়ায় যাইনি। ঘটনা কারা ঘটিয়েছে একমাত্র আল্লাহপাক দেখেছেন।’